সুইচ কি? সুইচের সুবিধা ও অসুবিধা কি?

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমে, সুইচ (Switch) হাবের মত এক ধরণের নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি ডিভাইস (Network Connectivity Device) যা মিডিয়া সেগমেন্টগুলোকে একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে নিয়ে একত্রিত করে। এটি একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং একে LAN ডিভাইসও বলা হয়। একটি সুইচে কতগুলো ডিভাইস কানেক্ট করা যাবে তা সুইচের পোর্ট সংখ্যার উপর নির্ভর করে। সাধারণত LAN তৈরি করার ক্ষেত্রে এটি অধিক … Read more

তেজস্ক্রিয়তা কাকে বলে? তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একক কি?

যে ধর্মের প্রভাবে সাধারণত ভারী মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস যে কোন অবস্থায়, নিজে থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরাম গতিতে বিভাজিত হয়ে নতুন মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং সেই সঙ্গে বিশেষ ধরনের অদৃশ্য রশ্মি বিকিরণ করে, মৌলের সেই ধর্মকে তেজস্ক্রিয়তা (Radioactivity) বলে। তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একক হলো বেকরেল।   তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্য (Properties of Radioactivity) (১) তেজস্ক্রিয় পদার্থ সাধারণত আলফা ও … Read more

সমগোত্রীয় শ্রেণি কাকে বলে? সমগোত্রীয় শ্রেণির বৈশিষ্ট্য কি কি?

একই শ্রেণিভুক্ত যৌগসমূহকে তাদের ক্রমবর্ধমান আণবিক ভর অনুযায়ী (অণুস্থিত কার্বন পরমাণু সংখ্যার ক্রমবৃদ্ধি) সাজালে দেখা যায় যে, ঐ শ্রেণির অন্তর্গত যে কোনো দুটি নিকটতম পাশাপাশি যৌগের সংকেতের মধ্যে সর্বদা একটি -CH2- (মিথিলিন) মূলকের ব্যবধান থাকে যাদের একটি সাধারণ প্রস্তুত প্রণালীতে প্রস্তুত করা যায় এবং একটি সাধারণ সংকেতের সাহায্যে প্রকাশ করা যায়, ভৌত ধর্মে নিয়মিত ক্রম … Read more

ফ্যাগোসাইটোসিস কাকে বলে? ফ্যাগোসাইটোসিসের ধাপসমূহ কি কি?

যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের শ্বেত-রক্তকণিকা দেহরক্ষার অংশ হিসেবে ক্ষণপদ সৃষ্টি করে দেহে অনুপ্রবেশকারী জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস প্রভৃতি) বা টিস্যুর মৃতকোষ ও অন্যান্য বহিরাগত কণাকে গ্রাস ও এনজাইমের সাহায্যে ধ্বংস করে দেহকে আজীবন সুস্থ রাখতে সচেষ্ট থাকে তাকে ফ্যাগোসাইটোসিস (Phagocytosis) বলে। ইমিউনতন্ত্রের প্রধানতম কাজ হচ্ছে সমন্বিত ও কার্যকর ফ্যাগোসাইটোসিস চালু রাখা।   ফ্যাগোসাইটোসিসের ধাপসমূহ (Steps of … Read more

লাইসোজোম কি? লাইসোজোম এর কাজ কি?

লাইসোজোম (Lysosome) এক ধরনের কোষীয় অঙ্গাণু, যা সাধারণত প্রাণী কোষে পাওয়া যায়। এই অঙ্গাণুটি লাইসোজোম নামক এনজাইম ক্ষরণ করে জীবকোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। এর উৎসেচক আগত জীবাণুগুলোকে হজম করে ফেলে। এর পরিপাক করার উৎসেচকগুলো একটি পর্দা দিয়ে আলাদা করা থাকে, তাই অন্যান্য অঙ্গাণু এর সংস্পর্শে এলেও হজম হয় না। দেহে অক্সিজেনের অভাব হলে … Read more

ইনভিট্রো সংরক্ষণ কি?

ইন-ভিট্রো (In-vitro) সংরক্ষণ বলতে কাঁচের বোতলে উদ্ভিদ সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে বোঝায়। প্রকৃত অর্থে এটি টিস্যু কালচার। যে সব প্রজাতির বংশবৃদ্ধির একমাত্র উপায় অঙ্গজ প্রজনন, শুধু সে সব উদ্ভিদ সংরক্ষণে এটিই একমাত্র উপায়। In-vitro সংরক্ষণের আর একটি পদ্ধতি হচ্ছে হিম সংরক্ষণ বা ক্রায়োপ্রিজারভেশন (cryopreservation)। ক্রায়োপ্রিজারভেশন প্রতিক্রিয়ায় জীবিত বস্তু যেমন, উদ্ভিদের ক্ষেত্রে-ভাজক টিস্যু, কোষের প্রোটোপ্লাস্ট। ভ্রুণ অথবা একটি … Read more

শৈবাল কাকে বলে? ছত্রাক ও শৈবালের মধ্যে পার্থক্য কি?

এককোষী বা বহুকোষী সমাঙ্গদেহী ক্লোরোফিলযুক্ত সরল প্রকৃতির উদ্ভিদগোষ্ঠীকে শৈবাল বলে।   শৈবালের উপকারিতা সামুদ্রিক শৈবাল থেকে অ্যালজিন প্রস্তুত করা হয়, যা আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আয়োডিন ও পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস সামুদ্রিক শৈবাল। মৎস্য চাষে ফাইটোপ্লাঙ্কটন বিশেষ ভূমিকা রাখে। এর প্রধান অংশই শৈবাল।   ছত্রাক ও শৈবালের মধ্যে পার্থক্য কি? ছত্রাক ও শৈবালের মধ্যে … Read more

প্রকৃত কোষ কাকে বলে? প্রকৃত কোষ কত প্রকার ও কি কি?

যে সকল কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দ্বারা নিউক্লিও বস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত থাকে তাকে, প্রকৃত কোষ বলে। এসব কোষে রাইবোজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে। অধিকাংশ উচ্চ শ্রেণির জীবকোষ এ ধরনের হয়। কাজের ভিত্তিতে প্রকৃত কোষ দুই প্রকার, যথা– দেহকোষ এবং জননকোষ। বহুকোষী জীবের দেহ গঠনে যেসব কোষ অংশগ্রহণ করে তাদেরকে দেহকোষ বলে। মাইটোটিক ও অ্যামাইটোটিক বিভাজনের মাধ্যমে এরা … Read more

এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম কাকে বলে?

কোষের সাইটোপ্লাজমে বিস্তৃত ও একক ঝিল্লিবেষ্টিত জালিকাকার অঙ্গাণু যা একাধারে প্লাজমা মেমব্রেন ও নিউক্লিয়ার মেমব্রেনের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে এবং সাইটোপ্লাজমকে অনিয়ত প্রকোষ্ঠে বিভক্ত করে অবস্থান করে, তাকে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (Endoplasmic Reticulum) বা অন্তঃপ্লাজমীয় জালিকা বলে। অ্যালবার্ট ক্লড (Albert Claude) এবং কেইথ পোর্টার (Keith Porter) ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে মুরগির ভ্রূণীয় কোষের সাইটোপ্লাজম থেকে এটি আবিষ্কার করেন। … Read more

গলজি বস্তু কি? গলজি বস্তুর কাজ কি?

সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত কতকগুলো ঘনসন্নিবিষ্ট চওড়া সিস্টারনি, থলির মতো ভ্যাকুওল এবং ক্ষুদ্র ভেসিকল-এর সমন্বয়ে গঠিত জটিল অঙ্গাণুর নাম গলজি বস্তু। ইতালিয় স্নায়ুবিজ্ঞানী ক্যামিলো গলজি (Camillo Golgi, 1843-1926) ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে পেঁচা ও বিড়ালের মস্তিষ্কের কোষে গলজি বস্তু আবিষ্কার করেন এবং বিশদ বর্ণনা দেন। তাঁর নামানুসারে এটি “গলজি বস্তু” নামকরণ করা হয়। গলজি বস্তু বিভিন্ন নামে পরিচিত, যথা- … Read more