আবরণী টিস্যু (Epithelial tissue) কাকে বলে? আবরণী টিস্যু কত প্রকার ও কি কি?

যে টিস্যু দেহের খোলা অংশ ঢেকে রাখে এবং দেহের ভেতরের আবরণ তৈরি করে তাকে আবরণী টিস্যু (Epithelial tissue) বলে। আমাদের ত্বকের বাইরের আবরণ, মুখগহ্বরের ভেতরের আবরণ ইত্যাদি আবরণী টিস্যু দিয়ে গঠিত। এছাড়া দেহের বিভিন্ন গ্রন্থিও আবরণী টিস্যু দিয়ে তৈরি। আবরণী টিস্যুগুলো এক বা একাধিক স্তরে সাজানো থাকে।

কোষের আকৃতি, প্রাণিদেহে অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে এ টিস্যু তিন প্রকারের হয়। যথা- ক) স্কোয়ামাস আবরণী টিস্যু, খ) কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু, এবং গ) কলামনার আবরণী টিস্যু।

 

আবরণী টিস্যুর কাজ

অঙ্গকে আবৃত রেখে সেটিকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করা, বিভিন্ন পদার্থ নিঃসরণ করা, বিভিন্ন পদার্থ শোষণ করা এবং সুনির্দিষ্ট পদার্থের পরিবহন করা আবরণী টিস্যুর কাজ।

 

আবরণী টিস্যু ও পেশি টিস্যুর মধ্যে পার্থক্য কি?

আবরণী টিস্যু ও পেশি টিস্যুর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ–

আবরণী টিস্যু

  • যে টিস্যু দেহের খোলা অংশ ঢেকে রাখে এবং দেহের ভেতরের আবরণ তৈরি করে তাকে আবরণী টিস্যু বলে।
  • ত্বকের বাইরে, মুখ গহ্বরের ভেতরে, পাকস্থলী, অন্ত্র, নাকের ভেতর আবরণী টিস্যু অবস্থান করে।
  • এ টিস্যু দেহের ভেতরের ও বাইরের অঙ্গগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে।

পেশি টিস্যু

  • ঐচ্ছিক, অনৈচ্ছিক টিস্যু যে পেশি দ্বারা গঠিত তাকে পেশি টিস্যু বলে।
  • হাতে ও পায়ে, অন্ত্রে, হৃৎপিণ্ডে অবস্থান করে।
  • দেহের আকৃতি দান করে এবং অস্থি সঞ্চালনে সহায়তা করে।