অতিবেগুনি রশ্মি (Ultraviolet ray) হচ্ছে সূর্যের আলোতে উপস্থিত অত্যন্ত ক্ষতিকর রশ্মি যা ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে।
এই রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০০ ন্যানোমিটার থেকে ৪০০ ন্যানোমিটার এবং শক্তি ৩ ইলেকট্রন-ভোল্ট থেকে ১২৪ ইলেকট্রন-ভোল্ট।
অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার (Use of Ultraviolet ray)
তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুসারে
- ২৩০-৪০০ ন্যানোমিটার: আলোক সম্বন্ধীয় সেন্সর, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরী্তে।
- ২৩০-৩৬৫ ন্যানোমিটার: UV-পরিচয়পত্র, বারকোড, লেবেল সনাক্তকরণ।
- ২৪০-২৮০ ন্যানোমিটার: জীবাণুনিরোধ, জিনিসপত্রের আবরণ এবং পানির পরিশোধন (সবোচ্চ ডিএনএ পরিশোষণ হয় ২৬০ ন্যানোমিটার)।
- ২৫০-৩০০ ন্যানোমিটার: ফরেন্সিক বিশ্লেষণ, মাদক সনাক্তকরণ।
- ২৭০-৩৬০ ন্যানোমিটার: প্রোটিন বিশ্লেষণ, ডিএনএ সংশ্লেষণ, ঔষধ আবিষ্কার।
- ২৮০-৪০০ ন্যানোমিটার: কোষের চিকিৎসা-শাস্ত্রগত ইমেজিং।
- ৩০০-৪০০ ন্যানোমিটার: Solid-state lighting
- ৩০০-৩৬৫ ন্যানোমিটার: পলিমারের সংস্কার এবং মুদ্রণযন্ত্রের কালি।
- ৩০০-৩২০ ন্যানোমিটার: আলোক নিরাময় চিকিৎসা।
- ৩৫০-৩৭০ ন্যানোমিটার: পোকা আকৃষ্ট করতে (মাছি ৩৬৫ ন্যানোমিটার আলোতে সর্বাপেক্ষা আকর্ষিত হয়)।
অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব
অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে নিম্নলিখিত ক্ষতিগুলো হয়ে থাকে–
১. চর্ম ক্যান্সার হতে পারে;
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়;
৩. চোখে ছানি ও অন্ধত্ব হতে পারে;
৪. খাদ্যশস্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও বীজের উৎকর্ষ নষ্ট হয়;
৫. প্রাণিজগতের অনেক প্রাণীর প্রজাতি বিলুপ্তি ঘটবে।
Tags :
- অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব
- অতিবেগুনি রশ্মি কোথা থেকে আসে
- অতিবেগুনি রশ্মির একটি ব্যবহার লেখ
- অতিবেগুনি রশ্মি কে আবিষ্কার করেন
- অতিবেগুনি রশ্মির বৈশিষ্ট্য
- অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি মানুষের কি ক্ষতি করে?
- অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে কোনটি
- অতিবেগুনি রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত
- অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে কোন স্তর
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি কি
- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে কোন গ্যাস
- Uv রশ্মি
- Uv এর পূর্ণরূপ
- জাল টাকা শনাক্তকরণে uv রশ্মির ব্যবহার
- টাকা দ্বারা শোষিত uv রশ্মি কোন রশ্মি হিসেবে বিকিরিত হয়