Pteris একটি স্থলজ ফার্ণ জাতীয় স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদ। এর দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত। কাণ্ড রাইজোম (rhizome)-এ রূপান্তরিত হয়। রাইজোম র্যামেন্টা (ramenta) দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। পাতা যৌগিক ও কচি অবস্থায় কুণ্ডলিত। স্পোরাঞ্জিয়া একক্রিত হয়ে পত্রকের কিনারায় সোরাস (sorus) গঠন করে। স্পোরাঞ্জিয়াম মেকী ইণ্ডুসিয়াম (false indusium) দিয়ে ঢাকা থাকে। প্রোথ্যালাস (গ্যামেটোফাইট) সবুজ বর্ণের, হৃৎপিন্ডাকার ও সহবাসী।
Pteris এর আবাস
Pteris সাধারণত পুরাতন ও ভাঙা স্যাঁতস্যাঁতে প্রাচীরের গায়ে জন্মায়। পুরাতন ইটের স্তূপেও এরা ভাল জন্মায়। রৌদ্রে জন্মাতে পারে বলে এদেরকে ‘সানফার্ণ’ বলা হয়। প্রাচীরের গায়ে এবং ইটের স্তূপে জন্মায় বলে এরা অর্ধবায়বীয় বা সাব এরিয়্যাল। বাংলাদেশে Pteris এর কয়েকটি প্রজাতি জন্মে থাকে। যেমন- P. vittata, P. longifolia. সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
Pteris এর গঠন
Pteris স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদ। এর দেহ মূল, কান্ড ও পাতায় বিভক্ত। কান্ডটি বহুবর্ষজীবী রাইজোম (rhizhome)-এ রূপান্তরিত। এটি দৃঢ় ও শাখাবিহীন এবং মাটির নিচে আংশিক অনুভূমিক ও আংশিক খাড়াভাবে অবস্থান করে। Ramanta নামের একধরনের বাদামী রোমে রাইজোম আবৃত। এর নিচের দিক থেকে বহু শাখা-প্রশাখাযুক্ত গুচ্ছাকার অস্থানিক মূল বের হয়।