সমাণুতা কাকে বলে? সমাণুতা কত প্রকার ও কি কি?

যেসব যৌগের আণবিক সংকেত একই কিন্তু কমপক্ষে একটি ভৌত বা রাসায়নিক ধর্মে পার্থক্য বিদ্যমান থাকে তাদেরকে পরস্পরের সমাণু এবং এ বিষয়কে সমাণুতা (Isomerism) বলে।   সমাণুতার শ্রেণিবিভাগ (Classification of Isomerism) সমাণুতাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। যথা– ১. গাঠনিক বা কাঠামোগত সমাণুতা (Structural Isomerism) ২. ত্রিমাত্রিক বা স্টেরিও সমাণুতা (3 dimentional or stereo Isomerism) ১. গাঠনিক … Read more

পলিমারকরণ বিক্রিয়া কাকে বলে? পলিমারকরণ বিক্রিয়া কত প্রকার?

যে বিক্রিয়ায় কোনো পদার্থের অনেকগুলো ক্ষুদ্র অণু পরস্পর যুক্ত হয়ে বৃহৎ অণু গঠন করে সেই বিক্রিয়াকে পলিমারকরণ বিক্রিয়া (Polymerization) বলে। পলিমারকরন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়ককে মনোমার এবং উৎপন্ন বৃহৎ অণুকে পলিমার বলে। বিক্রিয়ক এর কার্যকরী মূলক এবং স্টেরিক প্রভাবের উপর নির্ভর করে পলিমারকরণ বিক্রিয়া বিভিন্ন বিক্রিয়া কৌশল এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সাধারণ পলিমারকরণ বিক্রিয়া তে অ্যালকিন … Read more

প্রতিশব্দ কাকে বলে? প্রতিশব্দের উদাহরণ ও প্রয়োজনীয়তা

একটি শব্দের একই অর্থ বুঝাবার জন্য বাংলা ভাষায় একাধিক শব্দ রয়েছে, এদেরকে প্রতিশব্দ বলে। প্রতিশব্দকে সমার্থক শব্দও বলা হয়। যেমন— আকাশের প্রতিশব্দ হচ্ছে- গগন, অম্বর, আসমান ইত্যাদি।   প্রতিশব্দের প্রয়োজনীয়তা ১। ভাষার সৌন্দর্য ও যথার্থ অর্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিশব্দের ব্যবহার একান্ত জরুরি। ২। শব্দের অর্থ এবং বাক্যাদির ব্যাখ্যার সময় প্রতিশব্দের প্রয়োজন হয়। ৩। ভাষাকে সুন্দর, … Read more

রাবার কি? রাবার কি দিয়ে তৈরি হয়?

রাবার এক ধরনের হাইড্রোকার্বন পলিমার। রাবার বৃক্ষের রসকে রাবার ল্যাটেক্স বলে। এই ল্যাটেক্স তঞ্চন করে প্রাকৃতিক রাবার পাওয়া যায়। এই ল্যাটেক্স রাবার ইমালসন অবস্থায় প্রলম্বিত থাকে। এই ল্যাটেক্স-এ পানি ও এসিটিক এসিড যোগ করলে তঞ্চনের ফলে রাবার অধঃক্ষিপ্ত হয়। জমানো অবস্থায় রোলের দ্বারা প্রয়োজনীয় আকার দিয়ে শুকানো হয়। পরে ধূম ঘরে ৭২ ঘন্টা অগ্নিতাপে রেখে … Read more

কৃত্রিম পলিমার কাকে বলে? কৃত্রিম পলিমারের উদাহরণ ও ব্যবহার

যে সকল পলিমার প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না, কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুত করা হয়, সে সকল পলিমারকে কৃত্রিম পলিমার বলে। যেমন: মেলামাইন, রেজিন, ব্যাকেলাইট, পিভিসি, পলিথিনের ব্যাগ ইত্যাদি।   কৃত্রিম পলিমারের ব্যবহার পলিথিন : বিভিন্ন ধরনের মোড়ক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া মগ, বালতি, বিভিন্ন ধরনের বোতল, টেবিল, ক্লথ, গামলা, পানির ট্যাংক, ইনস্যুলেট, খেলনা ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পলিভিনাইল … Read more

কার্বোসাইক্লিক যৌগ কাকে বলে? কার্বোসাইক্লিক কত প্রকার ও কি কি?

যে সকল চক্রাকার যৌগের অণুর মূলকাঠামো কেবল কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত, তাদেরকে কার্বোসাইক্লিক (Carbocyclic) বা হোমোসাইক্লিক যৌগ বলে। যেমনঃ সাইক্লোবিউটেন, বেনজিন, টলুইন ইত্যাদি। ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের উপর ভিত্তি করে কার্বোসাইক্লিক যৌগগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন– (i) অ্যালিসাইক্লিক ও (ii) অ্যারোমেটিক যৌগ। i. অ্যালিসাইক্লিক যৌগঃ এই সকল যৌগ গাঠনিক দিক থেকে চক্রাকার, কিন্তু … Read more

পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া কাকে বলে? পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া কত প্রকার?

পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া কাকে বলে? (What is called Polymerization in Bengali/Bangla?) যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বহুসংখ্যক মনোমার অণু রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বৃহদাকার ও উচ্চ-আণবিক ওজনসম্পন্ন পলিমার অণু উৎপন্ন করে, তাকে পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া বলে। পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া মূলত দুই প্রকার। যথা– (১) যুত বা সংযোজন পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া এবং (২) ঘনীভবন পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া।   (১) যুত বা সংযোজন পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া একই বিক্রিয়কের অসংখ্য অণু … Read more

অ্যামিন কাকে বলে? অ্যামিন কত প্রকার?

অ্যামিন হচ্ছে জৈব যৌগ, অ্যামোনিয়ার জাতক। অ্যামোনিয়া (NH3)-এর এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু সমসংখ্যক অ্যালকাইল বা অ্যারাইল মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে যে সব যৌগ উৎপন্ন হয়, তাদেরকে অ্যামিন (amines) বলে। সংক্ষেপে অ্যামিন হল অ্যালকাইল বা অ্যারাইল প্রতিস্থাপিত অ্যামােনিয়া। যেমন : অ্যালকাইল অ্যামিন (R – NH2), অ্যারাইল অ্যামিন বা ফিনাইল অ্যামিন (Ar – NH2), ডাইমিথাইল অ্যামিন … Read more

হাইড্রোজেন বন্ধন কাকে বলে? হাইড্রোজেন বন্ধন কত প্রকার?

হাইড্রোজেন বন্ধন কি বা কাকে বলে? (What is a Hydrogen bond in Bengali/Bangla?) হাইড্রোজেন পরমাণু যখন অধিক তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল (যেমন- F, O, N ইত্যাদি) এর সাথে সমযোজী যৌগ গঠন করে, তখন তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্যের কারণে H-প্রান্তে আংশিক ধনাত্মক চার্জ ও তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলের প্রান্তে আংশিক ঋণাত্মক চার্জের সৃষ্টি হয়ে ডাইপোল গঠন করে, একাধিক ডাইপোলের … Read more

ক্রোমাটোগ্রাফি কি? ক্রোমাটোগ্রাফি কত প্রকার?

ক্রোমাটোগ্রাফি (Chromatography) হচ্ছে এক ধরনের বিশ্লেষণী পদ্ধতি, যাতে একটি সচল মাধ্যমকে একটি স্থির মাধ্যমের মধ্যে প্রবাহিত করে কোনো রাসায়নিক মিশ্রণের বিভিন্ন উপাদানগুলোকে পরিশোষণ মাত্রা বা বণ্টন গুণাংকের উপর ভিত্তি করে পৃথক করা হয়। গ্রীক শব্দ ক্রোমা (Chroma) যার অর্থ বর্ণ এবং গ্রাফেইন (Graphin) যার অর্থ লেখা। এই দুটি শব্দের মিলিত রূপই হলো ক্রোমাটোগ্রাফি (Chromatography) বা বর্ণচিত্রণ। এর সাহায্যে জটিল রাসায়নিক মিশ্রণের উপাদানগুলো … Read more