রাসায়নিক বিক্রিয়া কি? রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণ কি?

রাসায়নিক বিক্রিয়া হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে এক বা একাধিক পদার্থ এক বা একাধিক নতুন পদার্থে রূপান্তরিত হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী পদার্থগুলোকে বিকারক বা বিক্রিয়ক পদার্থ বলা হয়। অপরদিকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে নতুন ধর্মবিশিষ্ট যেসব পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাদের বিক্রিয়াজাত পদার্থ বা উৎপাদ বলা হয়। যেমন– হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে … Read more

সিলিকন (Silicon) কি? সিলিকন এর প্রস্তুতি ও ধর্ম

প্রতীক: সিলিকন, Si পারমাণবিক ভর: ২৮.০৮৫৫ u পরমাণু সংখ্যা: ১৪ ইলেকট্রনের গঠন: [Ne] 3s23p2 গলনাঙ্ক: ১,৪১৪ °C ইলেকট্রন সংখ্যা: 2, 8, 4 সিলিকন (Silicon) রাসায়নিক একটি মৌল, এর প্রতীক Si ও পারমানবিক সংখ্যা 14। ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8,4। সিলিকন গ্রুপ IV এর সদস্য এবং তৃতীয় পর্যায়ে এর অবস্থান। এর যোজনী 4। প্রাচুর্যের দিক হতে অক্সিজেনের পরেই সিলিকনের … Read more

এনজিওপ্লাস্টি কাকে বলে? এনজিওপ্লাস্টি কত প্রকার?

বড় ধরনের অস্ত্রোপচার না করে হৃৎপিন্ডের সংকীর্ণ ল্যুমেনযুক্ত বা রূদ্ধ হয়ে যাওয়া করোনারি ধমনি পুনরায় প্রশস্ত ল্যুমেনযুক্ত বা উন্মুক্ত করার পদ্ধতিকে এনজিওপ্লাস্টি (Angioplasty) বলে। এনজিওপ্লাস্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে সরু বা বন্ধ হয়ে যাওয়া ল্যুমেনের ভেতর দিয়ে হৃৎপিন্ডে পর্যাপ্ত O2 সরবরাহ নিশ্চিত করে হৃৎপিন্ড ও দেহকে সচল রাখা। বুকে ব্যথা (অ্যানজাইনা), হার্ট ফেইলিউর, হার্ট অ্যাটাক প্রভৃতি মারাত্মক … Read more

ধমনি কাকে বলে? ধমনির প্রাচীর কয় স্তরবিশিষ্ট?

যেসব রক্তনালির মাধ্যমে সাধারণত অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারাদেহে বাহিত হয় তাকে ধমনি বলে। ফুসফুসীয় ধমনি এর ব্যতিক্রম। এই ব্যতিক্রমধর্মী ধমনি হৃৎপিন্ড থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডযুক্ত রক্ত ফুসফুসে পৌঁছে দেয়। ধমনির প্রাচীর তিন স্তরবিশিষ্ট: টিউনিকা এক্সটার্না (Tunica externa): ধমনির বাহিরের স্তরকে টিউনিকা এক্সটার্না বলে। এটি তন্তুময় যােজক কলা বা টিস্যু দিয়ে তৈরি। টিউনিকা মিডিয়া (Tunica media): ধমনির … Read more

সুষম খাদ্য কাকে বলে? সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কি কি?

সুষম খাদ্য কাকে বলে? যেসব খাদ্যে দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য পরিমিত পরিমাণে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি এ ছয়টি উপাদান উপস্থিত থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে। যেমন- দুধ।   সুষম খাদ্যের উপাদান সুষম খাদ্যের মূলত ৬টি (ছয়টি) উপাদান। এই ছয়টি উপাদান যদি কোন খাদ্যের মধ্যে বিদ্যমান থাকে, তবে সেগুলোকে সুষম খাদ্যের তালিকায় … Read more

খাদ্য ও পুষ্টি কি বা কাকে বলে? খাদ্য ও পুষ্টির কাজ কি?

ভূমিকা (Introduction) দেহের বৃদ্ধি , শক্তি ও বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি প্রাণীর খাদ্য অপরিহার্য। তাই মানবদেহকে সুস্থ্য-সবল রাখার জন্যও খাদ্য অপরিহার্য। খাদ্য ও পুষ্টির সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা অর্জন করা দেহকে সুস্থ্য রাখার পূর্বশর্ত। খাদ্য ও পুষ্টি  একে অপরের পরিপূরক। শরীরের চাহিদার জন্য আমাদের খাদ্যকে বিবেচনা করা হয়। ভাল স্বাস্থ্যের মূল ভিত্তি হলো পুষ্টিকর খাবার ও … Read more

মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে? মিশ্র গ্রন্থির কাজ কি?

যে সমস্ত গ্রন্থি অন্তঃক্ষরা (হরমোন ক্ষরণকারী অংশ) এবং বহিঃক্ষরা (উৎসেচক ক্ষরণকারী অংশ) উভয় গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত, তাদের মিশ্র গ্রন্থি বলে।   মিশ্র গ্রন্থির বৈশিষ্ট্য ১) অনাল বা বহিঃক্ষরা গ্রন্থি এবং অনাল বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি যুক্ত হয়। ২) বহিঃক্ষরা অংশের ক্ষয় নালির মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে এবং অন্তঃক্ষরা অংশের ক্ষরণ রক্তের মাধ্যমে ক্রিয়াস্থলে পৌঁছায়।   মিশ্র গ্রন্থির কাজ … Read more

ব্রংকাইটিস কাকে বলে? ব্রংকাইটিস এর লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় কি?

শ্বাসনালির ভিতরে আবৃত প্রদাহকে ব্রংকাইটিস (Bronchitis) বলে। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ঝিল্লিগাত্রে প্রদাহ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, স্যাঁতসেঁতে ধূলিকণা মিশ্রিত আবহাওয়া, ঠাণ্ডা লাগা এবং ধূমপান থেকেও এ রোগ হওয়ার আশংকা থাকে। একবার ব্রংকাইটিস হলে বারবার এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দূষণ (যেমন … Read more

মাইটোকন্ড্রিয়া কি? মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ কি?

মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria) হচ্ছে এক প্রকার কোষীয় অঙ্গানু, যা সুকেন্দ্রিক কোষে পাওয়া যায়। মাই‌টোক‌ন্ড্রিয়াকে কোষের শ‌ক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা পাওয়ার হাউসও বলা হয়। প্রতিটি মাইটোকন্ড্রিয়া দ্বিস্তর পর্দা দ্বারা আবৃত। এর বাইরের পর্দাটি মসৃণ কিন্তু ভেতরের পর্দাটি আঙুলের মতো অনেক ভাঁজ সৃষ্টি করে।   মাইটোকন্ড্রিয়ার রাসায়নিক উপাদান মাইটোকন্ড্রিয়ার শুষ্ক ওজনের প্রায় ৬৫% প্রোটিন, ২৯% গ্লিসারাইড সমূহ ৪% কোলেস্টেরল। … Read more

চিকনগুনিয়া কি? চিকনগুনিয়া রোগের লক্ষণ। What is Chikungunya?

চিকনগুনিয়া কি? (What is Chikungunya in Bengali?)   চিকনগুনিয়া একটি মশা বাহিত ভাইরাসজনিত জ্বর। ১৯৫২ সালে আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। চিকুনগুনিয়া শব্দটি এসেছে সেখানকার মাকোন্ডে নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা কিমাকোন্ডে থেকে। এর অর্থ গিঁটের ব্যথায় কুঁকড়ে যাওয়া।   চিকুনগুনিয়া রোগের বিস্তার : চিকুনগুনিয়া রোগটি এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস মশার মাধ্যমে … Read more