নিয়ন কি? নিয়নের আবিষ্কার ও ব্যবহার What is Neon?

নিয়ন একটি গ্যাসীয় মৌলিক পদার্থ। এটি একটি নিস্ক্রিয় গ্যাস। এর প্রতীক Ne এবং এর পারমাণবিক সংখ্যা ১০। নিয়ন পর্যায় সারণির গ্রুপ-১৮ এবং পর্যায়-২ অবস্থিত। বায়ুমণ্ডলের বায়ুকে তরল করে আংশিক পাতন করে নিয়ন গ্যাস পাওয়া যায়। সূর্যে প্রচুর পরিমাণে নিয়ন গ্যাস আছে বলে ধারণা করা হয়। ১৮৯৮ সালে লন্ডনে ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্যার উইলিয়াম র‍্যামজি (১৮৫২-১৯১৬) ও … Read more

আদর্শ গ্যাস কাকে বলে? আদর্শ গ্যাসের বৈশিষ্ট্য কি কি?

আদর্শ গ্যাস কাকে বলে? (What is called Idea Gas in Bengali/Bangla?) যে সকল গ্যাস সকল তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসের সূত্রসমূহ অর্থাৎ বয়েলের সূত্র, চার্লসের সূত্র, অ্যাভোগেড্রোর সূত্র ইত্যাদি মেনে চলে তাদেরকে আদর্শ গ্যাস (Ideal gas) বলে। বাস্তবে কোনো আদর্শ গ্যাস নেই অর্থাৎ কোনো গ্যাসই যথাযথভাবে গ্যাসের সূত্রসমূহ মেনে চলে না। এটি একটি কাল্পনিক ধারণা মাত্র। আদর্শ গ্যাসের … Read more

আয়নিক যৌগ কাকে বলে? আয়নিক যৌগ ও সমযোজী যৌগের মধ্যে পার্থক্য কি?

আয়নিক যৌগ কি বা কাকে বলে? (What is an Ionic compound in Bengali/Bangla?) ইলেকট্রন বর্জন ও গ্রহণ করে বিপরীত চার্জযুক্ত আয়ন সৃষ্টির মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণের ফলে দুটি পরমানুর মধ্যে আয়নিক বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে যে যৌগের সৃষ্টি হয় তাকে আয়নিক যৌগ বলে। অন্যভাবে বলা যায় যে, আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যে যৌগ গঠিত হয় তাকে আয়নিক যৌগ … Read more

বয়েলের সূত্র কি? What is Boyle’s law?

১৬৬২ খ্রীষ্টাব্দে সর্বপ্রথম রবার্ট বয়েল (Robert Boyle) গ্যাসের উপর প্রযুক্ত চাপ এবং এর কারণে আয়তন পরিবর্তন সম্পর্কিত সূত্রটি আবিষ্কার করেন। তিনি পরীক্ষা করে দেখান যে, গ্যাসের উপর চাপ বাড়ালে আয়তন কমে এবং চাপ কমালে আয়তন বেড়ে যায়। পরীক্ষালব্ধ ফলাফল হতে বয়েল একটি সূত্র প্রস্তাব করেন। সূত্রটি বয়েলের সূত্র নামে পরিচিত। সূত্রটি নিম্নরূপঃ “স্থির তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট … Read more

ওজোন স্তর কি? What is Ozone layer in Bengali?

ওজোন স্তর হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। এই স্তর থাকে প্রধানতঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কিমি উপরে অবস্থিত। এই স্তরের পুরুত্ব স্থানভেদে এবং মৌসুমভেদে কমবেশি হয়।   ওজোন স্তরের ইতিহাস (History of Ozone layer) ফরাসী পদার্থবিদ চার্লস ফ্যব্রি এবং হেনরি বুইসন ১৯১৩ সালে ওজোন … Read more

অতিবেগুনি রশ্মি কি? অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে কি কি ক্ষতি হয়?

  অতিবেগুনি রশ্মি (Ultraviolet ray) হচ্ছে সূর্যের আলোতে উপস্থিত অত্যন্ত ক্ষতিকর রশ্মি যা ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে। এই রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০০ ন্যানোমিটার থেকে ৪০০ ন্যানোমিটার এবং শক্তি ৩ ইলেকট্রন-ভোল্ট থেকে ১২৪ ইলেকট্রন-ভোল্ট।   অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার (Use of Ultraviolet ray) তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুসারে ২৩০-৪০০ ন্যানোমিটার: আলোক সম্বন্ধীয় সেন্সর, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরী্তে। ২৩০-৩৬৫ ন্যানোমিটার: UV-পরিচয়পত্র, বারকোড, … Read more

সিএফসি কি? What is CFC in Bengali/Bangla?

ক্লোরো ফ্লোরো কার্বনকে সংক্ষেপে সিএফসি (CFC) বলা হয়। এতে রয়েছে কার্বন, ক্লোরিন, হাইড্রোজেন ও ফ্লোরিন। ১৯২০ এর দশকে CFC আবিষ্কৃত হয়। এটি একটি গ্রিনহাউজ গ্যাস, যা ওজোনস্তরের সাথে বিক্রিয়া করে একে ফুটো করে দেয়। ফলে অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে এসে পৌঁছে, যা মানুষের চর্মরোগ, ক্যান্সার ও অন্যান্য মারাত্মক রোগের জন্য দায়ী। রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনারে CFC … Read more

গ্রিন কেমিস্ট্রি কি? What is Green chemistry in Bengali?

গ্রিন কেমিস্ট্রি এমন একটি প্রক্রিয়া যা উৎপাদন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ঝুঁকি হ্রাস করে এবং পরিবেশ বান্ধব দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করে। এছাড়াও পরিবেশ ও মানব দেহের উপর রাসায়নিক দ্রব্যের ঝুঁকি হ্রাস করে। এর উদ্দেশ্য হলো জীবের জীবন চক্রে রাসায়নিক দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস করা এবং সময়োপযোগী অধিক কার্যকর উৎপাদ তৈরি করা।   গ্রিন কেমিস্ট্রির ইতিহাস (History … Read more

গ্রাফাইট কি? গ্রাফাইট বিদ্যুৎ পরিবাহী কেন?

গ্রাফাইট কি? (What is Graphite in Bengali Bangla?) গ্রাফাইট হচ্ছে কার্বনের একটি রূপভেদ। এতে একটি কার্বন পরমাণু অপর একটি কার্বন পরমাণুর সাথে তিনটি একক বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে। ফলে কার্বন পরমাণুর যোজ্যতা স্তরে একটি ইলেকট্রন মুক্ত অবস্থায় থাকে যা তড়িৎ পরিবহনে অংশগ্রহণ করে। এজন্য তড়িৎদ্বার হিসেবে গ্রাফাইট দণ্ডও ব্যবহার করা হয়।   গ্রাফাইটের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of … Read more

সমাণুতা কাকে বলে? সমাণুতা কত প্রকার ও কি কি?

যেসব যৌগের আণবিক সংকেত একই কিন্তু কমপক্ষে একটি ভৌত বা রাসায়নিক ধর্মে পার্থক্য বিদ্যমান থাকে তাদেরকে পরস্পরের সমাণু এবং এ বিষয়কে সমাণুতা (Isomerism) বলে।   সমাণুতার শ্রেণিবিভাগ (Classification of Isomerism) সমাণুতাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। যথা– ১. গাঠনিক বা কাঠামোগত সমাণুতা (Structural Isomerism) ২. ত্রিমাত্রিক বা স্টেরিও সমাণুতা (3 dimentional or stereo Isomerism) ১. গাঠনিক … Read more