নেফ্রন কি? নেফ্রন ও নিউরোন এর মধ্যে পার্থক্য কি?

নেফ্রন (Nephron) হচ্ছে বৃক্কের গঠনগত এবং কার্যগত একক, যা মূত্র তৈরী করে। মানুষের প্রত্যেক বৃক্কে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ নেফ্রন রয়েছে। প্রতিটি নেফ্রন প্রায় ৩ সে.মি. লম্বা। এ হিসেবে প্রত্যেক বৃক্কে নেফ্রনের নালিকাগুলো সম্মিলিতভাবে ৩৬ কি.মি. (প্রায় ২২.৫ মাইল) এরও বেশি লম্বা হবে। এর ফলে বিভিন্ন পদার্থের বিনিময় ক্ষেত্র ব্যাপক বিস্তৃত হয়েছে। বৃক্কের মাধ্যমে … Read more

নিউরন কাকে বলে? নিউরন কেন বিভাজিত হয় না?

নিউরন কাকে বলে? (What is called Neuron in Bengali/Bangla?) স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কাজের একককে নিউরন (Neuron) বলে। এটি মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ। নিউরন প্রধানত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত। যথা– ১. কোষদেহ ২. প্রলম্বিত অংশ। কোষদেহ নিউরনের প্রধান অংশ এবং এটি গোলাকার, ডিম্বাকার, মোচাকার, সুচালো প্রভৃতি বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। কোষদেহের ব্যাস ৬ মাইক্রন থেকে ১২০ মাইক্রন পর্যন্ত হতে পারে। কোষদেহ … Read more

সেন্ট্রিওল কাকে বলে? সেন্ট্রিওলের কাজ কি?

প্রাণীকোষ ও কিছু উদ্ভিদকোষে যে অঙ্গাণু স্বপ্রজননক্ষম, নিউক্লিয়াসের কাছে অবস্থিত এবং একটি গহ্বরকে ঘিরে ৯টি গুচ্ছ প্রান্তীয় অণুনালিকা নির্মিত খাটো নলে গঠিত তাকে সেন্ট্রিওল (Centriole) বলে। বিজ্ঞানী ভেন বেনডেন (Van Benden) ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম সেন্ট্রিওল শনাক্ত করেন এবং ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে জার্মান জীববিজ্ঞানী থিওডোর বোভেরী (Theodor Bovery) এর বিশদ বিবরণ দেন।   সেন্ট্রিওলের অবস্থান শৈবাল, ছত্রাক, … Read more

জীববিজ্ঞান কাকে বলে? জীববিজ্ঞানের শাখা কয়টি ও কি কি?

বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া এবং জীবনধারণ সম্পর্কে সম্যক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাওয়া যায় তাকে জীববিজ্ঞান (Biology) বলে।   জীববিজ্ঞানের শাখা জীববিজ্ঞানকে দুইটি শাখাতে ভাগ করা যায় যথা – উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান। জীবের কোন দিক আলোচনা করা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে জীববিজ্ঞানকে আবার দুইটি ভাগে ভাগ করা যায় -ভৌত জীববিজ্ঞান, ফলিত জীববিজ্ঞান। ভৌত জীববিজ্ঞানঃ … Read more

প্রোটিস্টা (Protista) কি? প্রোটিস্টার বৈশিষ্ট্য

প্রোটিস্টা হলো বিভিন্ন ধরনের সরল, ইউক্যারিওট, এককোষী, আণুবীক্ষণিক জীবের শ্রেণি, যাদের ছত্রাক, প্রাণী বা উদ্ভিদ কোনো বিভাগেই ফেলা যায় না। যেমন—অ্যামিবা, প্যারামেসিয়াম। প্রোটিস্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবসমূহ এককোষী বা বহুকোষী, একক বা কলোনিয়াল বা ফিলামেন্টাস। এদের সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে, ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন থাকে। কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে। খাদ্যগ্রহণ শোষণ, গ্রহণ … Read more

সরল প্রোটিন কাকে বলে? সরল প্রোটিন কত প্রকার?

যে প্রোটিনকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে শুধুমাত্র অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়, তাকে সরল প্রোটিন বলে। সরল প্রোটিন ৭ প্রকার। ১. অ্যালবিউমিন : পানিতে ও লঘু দ্রবণে দ্রবীভূত হয়। তাপে এরা জমাট বাঁধে। উদাহরণ : B- অ্যামাইলেজ অ্যালাবিউমিন। ২. গ্লোবিউলিন : এরা পানিতে অদ্রবণীয়। তবে লঘু দ্রবণে দ্রবণীয়। তাপে এরা জমাট বাঁধে। ডিমের কুসুম, দুধে গ্লোবিউলিন থাকে। … Read more

কলেরা (Cholera) কি? কলেরার লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ

Vibrio cholerae নামক ব্যাকটেরিয়া কোনোভাবেই মুখ দিয়ে পরিপাকতন্ত্রের ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশ করলে সুস্থ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়। সুস্থ লোকের পেটে জীবাণু না যাওয়া পর্যন্ত এ রোগ হয় না। সুস্থ লোক আক্রান্ত লোকের মলের উপর দিয়ে হেঁটে গেলে বা আক্রান্ত রোগীর মল বা বমি শরীরে মেখে গেলেও এ রোগ হয় না। দূষিত খাবার, পানি, মাছি দিয়ে সংক্রমিত … Read more

লিপিড (Lipid) কি? লিপিডের শ্রেণীবিভাগ, উৎস এবং বৈশিষ্ট্য

লিপিড কি? (What is Lipid in Bengali/Bangla?) লিপিড একটি জৈব রাসায়নিক পদার্থ, যা কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নিয়ে গঠিত। এগুলো সাধারণত স্নেহ পদার্থ নামে পরিচিত। মাছ, মাংসের চর্বি, সরিষার তেল, সয়াবিন তেল ইত্যাদিতে লিপিড বিদ্যমান থাকে। গ্রিক শব্দ ‘Lipos’-এর অর্থ হলো ফ্যাট।   লিপিডের শ্রেণীবিভাগ (Classification of lipid) গঠন প্রকৃতি অনুসারে লিপিড প্রধানত ৩ প্রকার- (১) সরল … Read more

ফ্যাগোসাইটোসিস কাকে বলে? ফ্যাগোসাইটোসিসের ধাপসমূহ কি কি?

যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের শ্বেত-রক্তকণিকা দেহরক্ষার অংশ হিসেবে ক্ষণপদ সৃষ্টি করে দেহে অনুপ্রবেশকারী জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস প্রভৃতি) বা টিস্যুর মৃতকোষ ও অন্যান্য বহিরাগত কণাকে গ্রাস ও এনজাইমের সাহায্যে ধ্বংস করে দেহকে আজীবন সুস্থ রাখতে সচেষ্ট থাকে তাকে ফ্যাগোসাইটোসিস (Phagocytosis) বলে। ইমিউনতন্ত্রের প্রধানতম কাজ হচ্ছে সমন্বিত ও কার্যকর ফ্যাগোসাইটোসিস চালু রাখা।   ফ্যাগোসাইটোসিসের ধাপসমূহ (Steps of … Read more

লাইসোজোম কি? লাইসোজোম এর কাজ কি?

লাইসোজোম (Lysosome) এক ধরনের কোষীয় অঙ্গাণু, যা সাধারণত প্রাণী কোষে পাওয়া যায়। এই অঙ্গাণুটি লাইসোজোম নামক এনজাইম ক্ষরণ করে জীবকোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। এর উৎসেচক আগত জীবাণুগুলোকে হজম করে ফেলে। এর পরিপাক করার উৎসেচকগুলো একটি পর্দা দিয়ে আলাদা করা থাকে, তাই অন্যান্য অঙ্গাণু এর সংস্পর্শে এলেও হজম হয় না। দেহে অক্সিজেনের অভাব হলে … Read more