উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য (ষষ্ঠ শ্রেণি)

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের যেকোনো অংশ থেকে জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন আসতে পারে। তাই এ অধ্যায়ের সর্বাধিক কমনের উপযোগী কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর প্রদান করা হলো। প্রশ্ন-১. মধ্যশিরা কী? উত্তর : একটি সরলপত্রের প্রধান শিরাকে মধ্যশিরা বলা হয়। প্রশ্ন-২. সরল পত্র কাকে বলে? উত্তর : অখণ্ড পত্রফলক … Read more

সংক্রামক রোগ কি? সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের উপায় কি?

বিভিন্ন জীবাণু যেমন– ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ। এ সকল রোগ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে ছড়াতে পারে।   সংক্রামক রোগের বিস্তার সংক্রামক রোগ বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। কিছু কিছু রোগ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেক জনে সংক্রমিত হয়। সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস যেমন– গ্লাস, … Read more

রক্তকণিকা কাকে বলে? রক্তকণিকা কত প্রকার ও কি কি?

রক্তরসে ভাসমান বিভিন্ন ধরনের কোষকে রক্তকণিকা (Blood Corpuscles) বলে। রক্তকণিকা প্রধানত তিন প্রকার। যথা– ১) লোহিত রক্তকণিকা বা এরিথ্রোসাইট ২) শ্বেত রক্তকণিকা বা লিউকোসাইট এবং ৩) অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট। ১. লোহিত রক্তকণিকা বা এরিথ্রোসাইট (Erythrocyte) মানুষের পরিণত লোহিত রক্তকণিকা গোল, দ্বিঅবতল, নিউক্লিয়াসবিহীন চাকতির মতো ও লাল বর্ণের। এর কিনারা মসৃণ এবং মধ্যাংশের চেয়ে পুরু। লোহিত … Read more

অভিস্রবণ কাকে বলে? অভিস্রবণ কত প্রকার ও কি কি?

একই দ্রব ও দ্রাবক বিশিষ্ট দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণ একটি অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক থাকলে যে ভৌত প্রক্রিয়ায় দ্রাবক কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে অধিক ঘনত্বের দ্রবণের দিকে ব্যাপিত হয় তাকে অভিস্রবণ বলে। কঠিন ও তরল পদার্থের মধ্যে অভিস্রবণ ঘটে।   অভিস্রবণের প্রকারভেদ অভিস্রবণ দু’ প্রকার। যথা- ১. অন্তঃঅভিস্রবণ এবং ২. বহিঃঅভিস্রবণ। ১. অন্তঃঅভিস্রণ : দ্রাবক যখন … Read more

কোষঝিল্লি কি? কোষঝিল্লির কাজ কি?

প্রোটোপ্লাজমের বাইরে দুই স্তরের যে স্থিতিস্থাপক পর্দা থাকে, তাকে কোষঝিল্লি বা প্লাজমালেমা বলে। কোষঝিল্লির ভাঁজকে মাইক্রোভিলাই বলে। রাসায়নিক দিক দিয়ে কোষ আবরণী প্রোটিন ও লিপিড দিয়ে গঠিত। কোষঝিল্লি একটি বৈষম্যভেদ্য পর্দা হওয়ায় অভিস্রবণের মাধ্যমে পানি ও খনিজ লবণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এবং পাশাপাশি কোষগুলোকে পরস্পর থেকে আলাদা করে রাখে।   কোষঝিল্লির রাসায়নিক উপাদান (i) কোষঝিল্লিতে … Read more

প্লাস্টিড কাকে বলে? প্লাস্টিড কত প্রকার? প্লাস্টিড এর কাজ কি?

সজীব উদ্ভিদকোষের সাইটোপ্লাজমে বর্ণহীন অথবা বর্ণযুক্ত গোলাকার বা ডিম্বাকার অঙ্গাণুকে প্লাস্টিড (Plastid) বলে। একে বর্ণাধারও বলে। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে শিম্পার (Schimper, 1856-1901) সর্বপ্রথম উদ্ভিদকোষে সবুজবর্ণের প্লাস্টিড লক্ষ করেন এবং এর নামকরণ করেন ক্লোরোপ্লাস্ট। পরবর্তীকালে অন্যান্য প্লাস্টিড আবিষ্কৃত হয়েছে। ইলেকট্রণ অণুবীক্ষণযন্ত্রের সহায়তায় জানা গেছে যে সালোকসংশ্লেষী ব্যাকটেরিয়া এবং নীলাভ সবুজ শৈবালেও ক্লোরোফিল বহনকারী এক ধরনের অঙ্গাণু রয়েছে। … Read more

হাইড্রা (Hydra) কি?

হাইড্রা (Hydra) হচ্ছে ক্ষুদ্রাকৃতি স্বাদুপানির প্রাণীর গণ যা নিডারিয়া পর্বের হাইড্রোজোয়া শ্রেণীর অন্তর্গত। এদের পাওয়া যায় নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে।   হাইড্রার আবিষ্কার ও নামকরণ হাইড্রার প্রকৃত আবিষ্কারক অ্যাব্রাহাম ট্রেম্বলে (Abraham Trembley, 1700-1784)। লিনিয়াসের নাম দেন Hydra। গ্রীক রূপকথার নয় মাথাওয়ালা ড্রাগনের নাম অনুসারে হাইড্রার নামকরণ করা হয়। ঐ ড্রাগনটির একটি মাথা কাটলে তার বদলে … Read more

পরিপাক কি? পরিপাকে স্নায়ুতন্ত্র ও হরমোনের ভূমিকা

পরিপাক হল এক ধরনের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যার সাহায্যে জটিল, অদ্রবণীয় খাদ্যবস্তু নির্দিষ্ট এনজাইমের সহায়তায় দেহের গ্রহণ উপযোগী সরল খাদ্যে পরিণত হয়। পরিপাকের ফলে শর্করা গ্লুকোজে, আমিষ এমাইনো এসিডে এবং ফ্যাট বা চর্বি ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত হয়।   পরিপাকে স্নায়ুতন্ত্র ও হরমোনের ভূমিকা খাদ্য পরিপাক ও শ্বসন যে জটিল প্রক্রিয়া তা বলার অপেক্ষা রাখে … Read more

রক্তরস কি? রক্তরস এর কাজ কি?

রক্তরস (বা প্লাজমা) হচ্ছে রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশ। এতে পানির পরিমাণ ৯০-৯২% এবং দ্রবীভূত কঠিন পদার্থের পরিমাণ ৮-১০%। রক্তরসের কঠিন পদার্থ বিভিন্ন জৈব (৭-৮%) ও অজৈব (০.৯%) উপাদান নিয়ে গঠিত। তাছাড়া, কয়েক ধরনের গ্যাসও রক্তরসে পাওয়া যায়। রক্তরসের উপাদানগুলো হচ্ছে– (i) খাদ্যসার (গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, লবণ, ভিটামিন ইত্যাদি); (ii) গ্যাসীয় পদার্থ (O2, … Read more

বৃক্ক কি? বৃক্কের কাজ কি?

বৃক্ক বা কিডনি (Kidney) হলো মেরুদণ্ডী প্রাণী তথা মানুষের প্রধান রেচন অঙ্গ। মানবদেহের উদরগহ্বরের পিছনের অংশে, মেরুদণ্ডের দুদিকে বক্ষপিঞ্জরের নিচে পিঠ-সংলগ্ন অবস্থায় দুটি বৃক্ক অবস্থান করে। প্রতিটি বৃক্ক দেখতে শিমবিচির মতো এবং এর রং লালচে হয়। বৃক্কের বাইরের পার্শ্ব উত্তল এবং ভিতরের পার্শ্ব অবতল হয়। অবতল অংশের ভাঁজকে হাইলাস (Hilus) বা হাইলাম বলে। হাইলামের ভিতর … Read more