যোজক কাকে বলে? যোজক কত প্রকার ও কি কি?

যেসব শব্দ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের বা বাক্যের অন্তর্গত একটি পদের সঙ্গে অন্য পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যোজক বলে। যোজকের কাজ হলো একাধিক শব্দ, পদবন্ধ, বাক্যকল্প বা বাক্যকে জুড়ে দেওয়া বা সম্পর্কিত করা। যেমন– আমি গান গাইব আর তুমি নাচবে। এতগুলো বই আর খাতা ওই ব্যাগে ধরবে? গ্লাসটা ভালো করে ধরো, নইলে … Read more

বাক্য সংকোচন কাকে বলে? বাক্য সংকোচনের প্রয়োজনীয়তা কি?

একটি বাক্য বা বাক্যাংশকে অথবা কয়েকটি পদসমষ্টিকে একটি পদে বা একটি যৌগিক শব্দে পরিণত করাকে এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন বলে। সংকুচিত বাক্যের প্রয়োগ সুষ্ঠু ও সুন্দর হলে ভাষা শক্তিশালী ও হৃদয়গ্রাহী হয়। এতে অর্থের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। কিন্তু সংক্ষিপ্ত করার জন্য শ্রুতিমধুর হয়। যেমন— আপনাকে যে হত্যা করে – আত্মঘাতী; চৈত্র মাসের … Read more

দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে? দ্বন্দ্ব সমাস কত প্রকার ও কি কি?

যে সমাসের প্রত্যেক পদের অর্থই সমানভাবে প্রধান থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: তাল ও তমাল= তাল-তমাল, দোয়াত ও কলম= দোয়াত-কলম। এখানে তাল ও তমাল এবং দোয়াত ও কলম- প্রতিটি পদেরই অর্থের প্রাধান্য সমস্ত পদে রক্ষিত হয়েছে। দ্বন্দ্ব সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্বন্ধ বোঝানোর জন্য ব্যাসবাক্যে এবং, ও, আর – এই অব্যয় পদগুলো ব্যবহৃত হয়। যেমন: মাতা ও … Read more

সমাস কাকে বলে? সমাসের প্রয়োজনীয়তা কি?

পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা তার অধিক পদ মিলিত হয়ে এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাাস বলে। যেমনঃ পিতা ও মাতা = পিতামাতা, বিলাত হতে ফেরত = বিলাত ফেরত ইত্যাদি।   সমাস সম্পর্কিত আরো সংজ্ঞা ১. সমস্যমান পদ – যে যে পদে সমাস হয় তাদের প্রত্যেককে সমস্যমান পদ বলে। ২. সমস্তপদ – সমাসবদ্ধ করলে যে পদ পাওয়া যায়, তাকে … Read more

বিশেষণ পদ কাকে বলে? বিশেষণ পদ কত প্রকার ও কি কি?

যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে। বাংলা ব্যাকরণ মতে– বাক্যে ব্যবহৃত যে পদ, বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে, তাকেই বিশেষণ বলে। যেমন— *বিশেষ্যের বিশেষণ – লাল রক্ত; *সর্বনামের বিশেষণ – করুণাময় তুমি; *ক্রিয়ার বিশেষণ – আস্তে যাও।   বিশেষণ পদ কত প্রকার? বিশেষণ পদ পাঁচ প্রকার। যথাঃ (ক) বিশেষ্যের বিশেষণ, (খ) … Read more

অব্যয় পদ কাকে বলে? অব্যয় পদ কত প্রকার ও কি কি?

অব্যয় হলো বাংলা ব্যাকরণের একটি পদ, যেটির বাক্যের মধ্যে ব্যবহারের সময় কোনো পরিবর্তন ঘটে না। অর্থাৎ, যে পদের কোনো অবস্থাতেই পরিবর্তন হয় না তাকে অব্যয় পদ বলে। যেমন– কিন্তু, সৎ, কেমন, যেমন, বরং, ব্যতীত, বটে, বেশ, ওহে প্রভৃতি।   অব্যয়ের প্রকৃতি বাংলা ব্যাকরণে অব্যয়ের নির্ধারিত প্রকৃতিসমূহ: এর বহুবচন হয় না। ক্রিয়ার কাল দ্বারা প্রভাবিত হয় না। … Read more

বিভক্তি কাকে বলে? বিভক্তি কত প্রকার ও কি কি?

যেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে ঐ শব্দটিকে বাক্যে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলে, সেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে বিভক্তি বলে। যেমনঃ শিশুরা খেলছে। এখানে ‘শিশু’ শব্দের শেষে ‘রা’ যুক্ত হয়ে ‘শিশুরা’ হয়েছে এবং ‘খেল্’ ক্রিয়ামূলের শেষে ‘ছে’ যুক্ত হয়ে ‘খেলছে’ হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ‘রা’ এবং ‘ছে’ হলো বিভক্তি।   বিভক্তির প্রকারভেদ বিভক্তি দুই প্রকার। যথাঃ (ক) … Read more

বচন কাকে বলে? বচন কত প্রকার ও কি কি?

বচন ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ। বচনের অর্থ সংখ্যা সম্পর্কিত ধারণা। যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সংখ্যা বুঝায়, তাকে বচন বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে সকল শব্দ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সংখ্যা বুঝায়, তাদেরকে বচন বলে। যেমনঃ একটি পাখি, অনেকগুলো পাখি ইত্যাদি।   বচনের প্রকারভেদ বচন দুই প্রকার। যথাঃ– (ক) একবচন ও (খ) বহুবচন। (ক) একবচন … Read more

বিরাম চিহ্ন কাকে বলে? বিরাম চিহ্নের গুরুত্ব ও ব্যবহার

আমরা কথা বলার সময় মাঝে মাঝেই থামি। এতে নিশ্বাস যেমন নেওয়া হয় তেমনি কথার অর্থও পরিষ্কার হয়। কথার অর্থ স্পষ্টভাবে বোঝাতে থামার জন্য যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাই বিরামচিহ্ন। বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়ের অন্যতম হলো বিরাম বা যতিচিহ্ন। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখলেই চলে না। অর্থবোধের জন্য বাক্যে এমন সব চিহ্ন ব্যবহার করা আবশ্যক– যাতে … Read more

বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে? বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় কয়টি ও কি কি?

বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে? যে বই পড়লে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে বলতে, পড়তে ও লিখতে পারা যায়, তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে। অর্থাৎ, যে শাস্ত্রে বাংলা ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি সবদিক দিয়ে আলোচনা করা হয়, তাকে বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বা বাংলা ব্যাকরণ বলা হয়।   বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় কয়টি ও কি কি? বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় চারটি। এগুলো … Read more