ডায়রিয়া (Diarrhea) একটি পানি ও খাদ্যবাহিত রোগ। কারো যদি দিনে অন্তত তিনবারের বেশি পাতলা পায়খানা হয় তাহলে তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে মনে করতে হবে। নিম্নে এ রোগের কারণ ও লক্ষণগুলো দেওয়া হলো।
ডায়রিয়া রোগের কারণ
দূষিত পানি পান করলে, বাসি-পচা, নোংরা খাবার খেলে, অপরিচ্ছন্ন থালা-বাসন ব্যবহার করলে, অপরিস্কার হাতে খাবার খেলে এ রোগের বিস্তার লাভের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ডায়রিয়া রোগের লক্ষণ
১. ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয়;
২. বারবার বমি হয়;
৩. খুব পিপাসা লাগে, মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যায়;
৪. চোখ বসে যায়;
৫. কাঁদলে শিশুর মাথার চাঁদি বা তালু বসে যায়;
৬. আস্তে আস্তে রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
ডায়রিয়া হলে করণীয় কী? ঘরে বসেই কীভাবে খাবার স্যালাইন তৈরি করা যায়?
ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। পানি ঘাটতির সাথে সাথে শরীরে খনিজ লবণেরও ঘাটতি হয়। তাই ডায়রিয়া হলে নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে হবে–
- রোগীকে বেশি পরিমাণে তরল খাবার দিতে হবে।
- পানি ও খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণের জন্য খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- রোগী ও রোগীর ব্যবহার করা জিনিস পরিষ্কার রাখতে হবে।
- ডাবের পানি ডায়রিয়া রোগের উত্তম খাবার। তাই সম্ভব হলে বেশি করে ডাবের পানি দিতে হবে।
খাবার স্যালাইন তৈরির প্রক্রিয়া : খুব সহজেই ঘরেই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর জন্য খাবার স্যালাইন তৈরি করা যায়। এজন্য পরিষ্কার পাত্রে আধা লিটার পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে এক মুঠো গুড় বা চিনি দিতে হবে। একই সাথে এতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নাড়তে হবে। এভাবে তৈরি করা স্যালাইন ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে খাওয়ানো যায়।
এ সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
১। ডায়রিয়া কী ধরনের রোগ?
উত্তর : পানিবাহিত।
২। কোন রোগে শিশুর মাথার মধ্যভাগ দেবে যায়?
উত্তর : ডায়রিয়া।
৩। স্যালাইন খাওয়ানোর মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : শরীরে পানির অভাব পূরণ করা।