পলির বর্জন নীতি (Pauli’s Exclusion Principle in Bengali)

পলির বর্জন নীতি কী?

ইলেকট্রন বিন্যাস সম্পর্কে বিজ্ঞানী পলি 1925 সালে একটি নীতি বর্ণনা করেন। তাঁর নাম অনুসারে নীতিটিকে পলির বর্জন নীতি বলা হয়। নীতিটি নিম্নরূপ— “একটি পরমাণুর যে কোনো দুটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনও একই হতে পারে না।”

অর্থাৎ একটি পরমাণুর দুইটি ইলেকট্রনের তিনটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান এক রকম হতে পারে। কিন্তু চতুর্থ কোয়ান্টাম সংখ্যার মান অবশ্য ভিন্ন হবে। যেমন–

দুই ইলেকট্রন বিশিষ্ট He এর,

১ম ইলেকট্রনের জন্য, n = 1, l = 0, m = 0, s = + 1/2

২য় ইলেকট্রনের জন্য, n = 1, l = 0, m = 0, s = – 1/2

অতএব দেখা যাচ্ছে দুইটি ইলেকট্রনের প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা এবং চৌম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যার মান সমান হলেও ঘূর্ণন কোয়ান্টাম সংখ্যার মান ভিন্ন হয়। অর্থাৎ দুটি ইলেকট্রন একই অরবিটালে অবস্থান করতে পারে যদি তাদের ঘূর্ণনের দিক পরস্পর বিপরীতমুখী হয়। এদের একটি ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরলে, অপরটি ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুরবে। তাই দুই ইলেকট্রন একই অরবিটালে থাকলে একটিকে উপরের দিকে তীর চিহ্ন দ্বারা এবং অপরটি নিচের দিকে তীর চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

 

পলির বর্জন নীতির সাহায্যে বিভিন্ন উপকক্ষে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন সংখ্যা নির্ণয় করা যাবে কি?

পলির বর্জন নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসিদ্ধান্ত হল– প্রতিটি অর্বিটালে সর্বোচ্চ দুটি ইলেকট্রন থাকতে পারবে, যদি তাদের ঘূর্ণন বিপরীতমুখী হয়। এই নীতি অনুসরণ করে বিভিন্ন উপকক্ষপথে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন সংখ্যা নির্ণয় করা যাবে। যেমন–

  • s উপকক্ষপথের জন্য l = 0 ∴ m = 0, তাই s উপকক্ষপথের অর্বিটাল মাত্র 1 টি। পলির বর্জন নীতি অনুসারে s উপকক্ষপথের সর্বমোট ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা 1 × 2 = 2 টি।