স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে?

স্যাটেলাইট কি? (What is Satellite in Bengali/Bangla?)

স্যাটেলাইট হচ্ছে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। এটি পৃথিবী থেকে একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবস্থান করে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। স্যাটেলাইট পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২২০০০ মাইল উঁচুতে স্থাপন করে ভূপৃষ্ঠ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি বিশেষ ধরনের তারবিহীন রিসিভার/ট্রান্সমিটার। ১৯৫৭ সালে (Verner E. Suomi) ভারনার ই সওমি স্যাটেলাইট আবিষ্কার করেন। স্যাটেলাইট বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আমূল পাল্টে দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট এর নাম স্পুটনিক-১ (Sputnik-1) যা ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশে স্থাপন করে।

স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনে মাইক্রোওয়েভ কম্পাংকের সিগনালের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীতে তথ্য প্রেরণকে ডাউন লিংক ট্রান্সমিশন (Downlink Transmission) এবং পৃথিবী থেকে স্যাটেলাইটে তথ্য প্রেরণকে আপলিংক ট্রান্সমিশন (Uplink Transmission) বলে। সমগ্র পৃথিবীকে কাভারেজ এর আওতায় আনতে কমপক্ষে তিনটি স্যাটেলাইটের প্রয়োজন।

 

স্যাটেলাইট কিভাবে কাজ করে?

পৃথিবী থেকে মহাকাশের দিকে মুখ করে থাকা এন্টেনা দিয়ে তথ্য স্যাটেলাইট বা উপগ্রহে পাঠানো হয়। স্যাটেলাইট তথ্যটি গ্রহণ করে আবার অন্য দিকে পাঠিয়ে দেয়। এভাবে আমরা পৃথিবীর এক পৃষ্ঠ থেকে অন্য পৃষ্ঠে তথ্য পাঠাতে স্যাটেলাইট ব্যবহার করি। যেমন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পৃথিবীব্যাপী সম্প্রচার।

 

স্যাটেলাইটের প্রকারভেদ (Types of Satellite)

স্যাটেলাইটের কাজের উপর ভিত্তি করে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ

ক) ওয়েদার স্যাটেলাইট

খ) কমিউনিকেশান স্যাটেলাইট

গ) ন্যাভিগেশান স্যাটেলাইট

ঘ) আর্থ অবর্জাভেশন স্যাটেলাইট

ঙ) মিলিটারী স্যাটেলাইট।

 

স্যাটেলাইটের সুবিধা (Advantages of Satellite)

  • স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ, আবহাওয়া পূর্বাভাস ও দ্রুততম সময়ে টেলিযোগাযোগ সাধন করা যায়।
  • স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডাটা টেক্সট এবং ভিজুয়ালাইজড মাধ্যমে মুহূর্তেই বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাঠানো যায়।
  • স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণসহ বিশ্বের যে কোন স্থানের সরাসরি সচিত্র সংবাদ ও তথ্য যে কোন স্থানে প্রেরণ করা যায়।