প্রাণিজগতের বিভিন্ন প্রাণীর সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিভাগ, শ্রেণি, গোত্র, গণ, প্রজাতিতে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা
শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হলো–
শ্রেণীবিন্যাস এর সাহায্যে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে জানা যায়। নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণীবিন্যাস অপরিহার্য। প্রাণীকুলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে প্রাণীকুলের মাঝে যে পরিবর্তন ঘটেছে বা ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অসংখ্য প্রাণীকূলকে একটি নির্দিষ্ট রীতিতে বিন্যস্ত করে গোষ্ঠীভুক্ত করা যায়। প্রাণীর মধ্যে মিল-অমিল এর ভিত্তিতে পরস্পরের মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয় করা যায়। প্রাণী সম্পর্কে সামগ্রিক ও পরিকল্পিত জ্ঞান নির্ণয় করা যায়। যেমন-সব এককোষী প্রাণী কে একটি পর্বে এবং বহুকোষী প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়।
তাই, শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তর
১। শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কিত জ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা বলে।
২। শ্রেণিবিন্যাসের জনক কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ শ্রেণিবিন্যাসের ইতিহাসে অ্যারিস্টটল, জন রে ও ক্যারোলাস লিনিয়াসের অবদান উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সুইডিশ প্রকৃতিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন এবং দুই অংশ বিশিষ্ট দ্বিপদ নামকরণ প্রথা প্রবর্তন করেন। তাই ক্যারোলাস লিনিয়াসকে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয়।
৩। ট্যাক্সোনমি ও শ্রেণিবিন্যাসের পার্থক্য কি?
উত্তর : ট্যাক্সোনমি জীববিজ্ঞানের একটি শাখা। এখানে জীবের নামকরণ, শনাক্তকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস আলােচনা করা হয়। শ্রেণিবিন্যাস ট্যাক্সোনমির একটি অংশ। জীবের নামকরণ ও শনাক্তকরণের পর তাদের বিভিন্ন গােষ্ঠীতে ভাগ করার পদ্ধতি হলাে শ্রেণিবিন্যাস।