উচ্চ তীব্রতা ও তীক্ষ্ণতা সম্পন্ন যে শব্দ আমাদের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে তাকে শব্দদূষণ বলে। শব্দদূষণের প্রভাবে আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম ও পড়াশোনাতে ব্যাঘাত ঘটে। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হয়। যেমন- মাথাব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ হয়, হৃদরোগ হয় ইত্যাদি। এ ছাড়া আমাদের শ্রবণশক্তি কমে যায়, এমন কি বধির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শব্দ দূষণ প্রতিরোধের জন্য কি কি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে?
শব্দ দূষণ প্রতিরোধে করণীয় : শব্দ দূষণের হাত থেকে বাঁচার উপায় হলো শব্দ কমানো। এ প্রসঙ্গে আমরা নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি :
- যেকোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানে উচ্চ স্বরে মাইক বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
- উৎসবে পটকা, বাজি ফুটানো নিষিদ্ধ করতে হবে।
- গাড়ির হর্ন অযথা বাজানো বা জোরে বাজানো পরিহার করা উচিত।
- কম শব্দ উৎপাদনকারী ইঞ্জিন বা যন্ত্রপাতি তৈরি করা।
- লোকালয় থেকে দূরে কলকারখানা ও বিমান বন্দর স্থাপন করা।
- কলকারখানায় শব্দ শোষণ যন্ত্রের ব্যবহার চালু করা।
- শহরের মাঝে মাঝে উন্মুক্ত জায়গা রাখা এবং রাস্তার ধারে গাছপালা লাগানো উচিত।
- সর্বোপরি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করেও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ ব্যাখ্যা করো।
পরিবেশ দূষণের প্রভাব নিচে দেওয়া হলো–
১. মানুষ ও পরিবেশের জীবজন্তুর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
২. মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়, যেমন- ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, পানিবাহিত রোগ ইত্যাদি।
৩. পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে।
৪. জীবজন্তুর আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে।
৫. অনেক জীবজন্তু পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে।
Tags :
- শব্দ দূষণ কাকে বলে এর কারণ ও ফলাফল
- শব্দ দূষণের কারণ ও প্রতিকার শব্দ দূষণের ভূমিকাশব্দ দূষণের ৫টি কারণশব্দ দূষণের ১০টি কারণশব্দ দূষণের প্রতিকার
- শব্দ দূষণের প্রাকৃতিক কারণ
- শব্দ দূষণের ২টি কারণ
- শব্দ দূষণের কারণ ও ফলাফল
- শব্দ দূষণের ফলাফল
- শব্দ দূষণের কারণ
- শব্দ দূষণের ছবি
- শব্দ দূষণ রচনা