প্রিয় দর্শক এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানাবো কি দিয়ে এবং কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়। তো চলুন শুরু করি আজকের আলোচনা।
বিদ্যুৎ এক প্রকার বিশেষ শক্তি, যা আমরা চোখে দেখতে পাই না কিন্তু অনুভব করতে পারি। বিদ্যুতের আরেক নাম চার্জ। কোনো পরিবাহী বস্তুকে অপর কোনো পরিবাহী বস্তু দিয়ে ঘষা হলে, তাদের মধ্যে নতুন যে ধর্ম লাভ করে এবং তারা অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করে এই ধর্মকে ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ বলে।
বিদ্যুৎ কত প্রকার ও কি কি? (How Many Types of Electricity?)
বিদ্যুৎ ২ প্রকার। যথা :
১। স্থির বিদ্যুৎ : যে বিদ্যুৎ স্থান পরিবর্তন করে না এবং উৎপত্তি স্থানে থেকে যায়, তাকে স্থির বিদ্যুৎ বলে।
২। চল বিদ্যুৎ : যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় কিছু কৌশলগত পদ্ধতি অবলম্বন করে একস্থান হতে অন্যস্থানে প্রবাহিত করা যায় তাকে চল বিদ্যুৎ বলে।
চল বিদ্যুৎ আবার ২ প্রকার :
১। ডিসি কারেন্ট : যে কারেন্টের মান ও দিক কোনো পরিবর্তন না করে সার্কিটে প্রবাহিত করা হয় তাকে ডিসি কারেন্ট বা ডাইরেক্ট কারেন্ট বলা হয়।
২। এসি কারেন্ট : যে কারেন্টের মান ও দিক সময় পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে সার্কিটে প্রবাহিত হয় তাকে এসি কারেন্ট বা অল্টারনেটিভ কারেন্ট বলে।
প্রথমে জানাবো কি দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়। বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় জেনারেটর দিয়ে। তবে জেনারেটরকে ঘোরানোর জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হয়। এবং কাচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় তেল, গ্যাস, পানি, কয়লা, বায়ু, তাপ ইত্যাদি।
সরাসরি তেল, গ্যাস, পানি, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায় না। আবার সূর্যের আলো থেকে এক প্রকার বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়, যার নাম সৌরবিদ্যুৎ।
এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে জেনারেটর আবার কি? যেটার মাধ্যমে বিদ্যুৎ তৈরি হয়।
জেনারেটর হচ্ছে এক ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।