চোখে ছানি পড়া কী এবং এ রোগের কারণ ও লক্ষণগুলো কী কী?

চোখে ছানি পড়া বলতে চক্ষু লেন্সের ঘোলাটে হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, চোখে আঘাত পেলে বা কোনো সংক্রমণের ফলে চোখে ছানি পড়তে পারে। তাছাড়া বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথেও চোখে ছানি পড়তে পারে। এ রোগ হলে চোখে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগাক্রান্ত লেন্সকে কন্টাক্ট লেন্স দ্বারা প্রতিস্থাপন করে এ রোগ আরোগ্য করা যায়। তবে সময়মতো চিকিৎসা না হলে চক্ষুগোলক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

 

চোখের ছানি রোগের কারণ কী?

বিভিন্ন কারণে চোখে ছানি পড়তে পারে। নিম্নে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলোঃ

১. চোখে আঘাত পেলে।

২. চোখে ঘন ঘন প্রদাহ হলে।

৩. বার্ধক্যজনিত কারণে।

৪. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস চোখে ছানি পড়ার অন্যতম কারণ।

৫. অপুষ্টিজনিত কারণে।

৬. অনিয়ন্ত্রিতভাবে হরমোন বা স্টেরয়েড থেরাপি নেয়ার ফলেও চোখে ছানি পড়তে পারে।

৭. পারিবারিক ইতিহাস ইত্যাদি।

 

চোখের ছানি রোগের লক্ষণগুলো কী?

চোখের ছানি রোগের লক্ষণগুলো হলো—

১. দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া।

২. চশমার পাওয়ার বারবার পরিবর্তন হওয়া।

৩. একটি জিনিসকে একাধিক দেখা।

৪. আলোতে গেলে চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া।

৫. আলোর চারদিকে রংধনু দেখা ইত্যাদি।

 

কীভাবে ছানি রোগ প্রতিরোধ করা যায়?

চোখের ছানিরোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বার্ধক্যজনিত কারণে হয়। যে কারণে এটি একেবারে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না। তবে এর প্রকোপ কমানো যায়। চোখের ছানি রোগের প্রকোপ কমানোর জন্য নিম্নোক্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়—

১. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ।

৩. ধূমপান ও হরমোন জাতীয় ঔষধ বর্জন।

৪. চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ।