বাতি বা ল্যাম্পের সাহায্যে বসতবাড়ি, অফিস আদালত, কলকারখানা, রাস্তাঘাট ইত্যাদি স্থান আলোকিত করাকে উদ্ভাসন বা ইলুমিনেশন (illumination) বলে। অন্যভাবে বলা যায়– কোন একক ক্ষেত্রফলের উপর পতিত আলোকরশ্মির পরিমাণকে ইলুমিনেশন বলে।
ধরা যাক,
E = ইলুমিনেশন; A = ক্ষেত্রফল; θ = ফ্লাক্স।
∴ E = θ/A লিউমেন/বর্গমিটার বা লাক্স।
ইলুমিনেশনের একক এম.কে.এস পদ্ধতিতে লিউমেন/বর্গমিটার।
ইলুমিনেশনের একক সি.জি.এস পদ্ধতিতে লিউমেন/বর্গ সে.মি.।
ইলুমিনেশনের একক এফ.পি.এস পদ্ধতিতে লিউমেন/বর্গফুট।
ইলুমিনেশনের সূত্র
ইলুমিনেশনের সূত্র তিনটি। এগুলোর বিবরণ নিম্নে দেয়া হলো–
ক. সমানুপাতের সূত্র
খ. বর্গের ব্যস্তানুপাতিক সূত্র
গ. ল্যাম্বার্টের কোসাইন সূত্র
ক. সমানুপাতিক সূত্র : কোন তলের ইলুমিনেশন আলোক উৎসের লিউমিনাস ইনটেনসিটির সমানুপাতিক।
খ. বর্গের ব্যস্তানুপাতিক সূত্র : কোন তলের ইলুমিনেশন ঐ তল হতে আলোক উৎসের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
গ. ল্যাম্বার্টের সূত্র : কোন তলের যে কোন বিন্দুতে ইলুমিনেশন উক্ত তলের অভিলম্ব ও উক্ত বিন্দুতে পতিত আলোক রশ্মির মধ্যে সৃষ্টি কোণের কোসাইন এর সমানুপাতিক।
কোন স্থানের ইলুমিনেশন কী কী বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
কোন স্থানের ইলুমিনেশন নিম্নলিখিত বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যথা–
১. লিউমিনাস ইনটেনসিটি (I)।
২. উৎস হতে স্থানটির দূরত্ব (r)।
৩. উৎসের অভিলম্বের স্থানের কৌণিক অবস্থান (cosθ)
এ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
প্রশ্ন-১। ক্যান্ডেলা পাওয়ার বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ ক্যান্ডেলা পাওয়ার বলতে কোন নির্দিষ্ট দিকে নির্গত আলোক রশ্মির তীব্রতাকে বুঝায়।
প্রশ্ন-২। লিউমেেন কি?
উত্তরঃ লিউমেন হচ্ছে আলোক রশ্মিরেখা পরিমাপের একক। কোন আলোকদায়ক বস্তু থেকে নির্গত রশ্মিরেখাকে লিউমেন এককে প্রকাশ করা হয়। এক ক্যান্ডেলা পাওয়ার শক্তি বিশিষ্ট থেকে ৪π বা ১২.৫৭ লিউমেন আলোক রশ্মিরেখা নির্গত হয়।
প্রশ্ন-৩। রশ্মিরেখা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন আলোকদায়ক বস্তু থেকে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ আলোকশক্তির বিকিরণ হয়, তাকে রশ্মিরেখা বা লুমিনাস ফ্লাক্স বলে।