অ্যামিটার একটি ইলেকট্রনিক বা ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র, যার সাহায্যে বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ সরাসরি অ্যাম্পিয়ার এককে পরিমাপ করা যায়। অ্যামিটার বর্তনীর সাথে শ্রেণি সংযােগে যুক্ত থাকে। এই যন্ত্রে একটি গ্যালভানােমিটার থাকে। গ্যালভানােমিটার হচ্ছে সেই যন্ত্র যার সাহায্যে বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহের অস্তিত্ব ও পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। এই গ্যালভানােমিটারে বিক্ষেপ নির্ণয়ের জন্য একটি সূচক বা কাটা লাগানাে থাকে। সূচকটি অ্যাম্পিয়ার, মিলিঅ্যাম্পিয়ার বা মাইক্রোঅ্যাম্পিয়ার এককে দাগকাটা একটি স্কেলের উপর ঘুরতে পারে। বিদ্যুৎ কোষের মতাে অ্যামিটারেও দুটি সংযােগ প্রান্ত থাকে, একটি ধনাত্মক ও একটি ঋণাত্মক প্রান্ত। সাধারণত ধনাত্মক প্রান্ত লাল এবং ঋণাত্মক প্রান্ত কালাে রঙের হয়।
অ্যামিটার কত প্রকার ও কি কি?
গঠন অনুযায়ী অ্যামিটার প্রধানত দুই প্রকার। যথা—
(১) মুভিং আয়রণ টাইপ এসি/ডিসি অ্যামিটার—
- অ্যাট্রাকশন টাইপ;
- রিপালশন টাইপ। [এসি ও ডিসি উভয়ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।]
(২) মুভিং কয়েল টাইপ এসি/ডিসি অ্যামিটার—
- পারমানেন্ট ম্যাগটেনট টাইপ; [শুধু ডিসিতে ব্যবহৃত হয়।]
- ডায়নামোমিটার টাইপ; [এসি ও ডিসি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।]
অ্যামিটার এর ব্যবহার
মুভিং কয়েল অ্যামিটার বিদ্যুতের একমুখী প্রবাহ মাপার জন্য এবং মুভিং আয়রন অ্যামিটার পরিবর্তী প্রবাহ মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়।
অ্যামিটার ও ভোল্টমিটার এর পার্থক্য কি?
অ্যামিটার ও ভোল্টমিটার এর পার্থক্য নিচে দেয়া হলো–
- অ্যামিটারের সাহায্যে বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপ করা হয়। অপরদিকে, ভোল্টমিটারের সাহায্যে বর্তনীর যেকোনো দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য পরিমাপ করা হয়।
- অ্যামিটার বর্তনীতে শ্রেণী সংযোগে যুক্ত থাকে। অপরদিকে, ভোল্টমিটার বর্তনীতে সমান্তরাল সংযোগে সংযুক্ত থাকে।
- অ্যামিটারের সাথে সমান্তরালে একটি কম মানের রোধ যুক্ত থাকে; পক্ষান্তরে ভোল্টমিটারের সাথে সিরিজে একটি উচ্চমানের রোধ যুক্ত থাকে।
অ্যামিটার সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
১। আ্যামিটার দিয়ে কী মাপা হয়?
উত্তর : বিদ্যুৎ প্রবাহ।
২। অ্যামিটারে কয়টি সংযোগ প্রান্ত থাকে?
উত্তর : দুটি।
৩। অ্যামিটারের ঋণাত্মক প্রান্তের রং কেমন?
উত্তর : কালো।
৪। কোন যন্ত্রের সাহায্যে বর্তনীর দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য পরিমাপ করা হয়?
উত্তর : অ্যামিটার।
৫। কোনটিকে বর্তনীর উপকরণের সাথে শ্রেণিতে যুক্ত করা হয়?
উত্তর : অ্যামিটার।