অরবিট কাকে বলে?
বোরের পরমাণু মডেল অনুসারে পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারিদিকে ইলেকট্রনসমূহ আবর্তনের জন্য কতগুলো বৃত্তাকার স্থির কক্ষপথ বা শক্তিস্তর রয়েছে। এসব বৃত্তাকার স্থির শক্তিস্তরকে অরবিট বলা হয়। প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার সাথে অরবিটসমূহের সম্পর্ক রয়েছে।
অরবিটাল কাকে বলে? অরবিটালের সংজ্ঞা কি?
কোয়ান্টাম বলবিদ্যা অনুসারে ইলেকট্রনসমূহ নিউক্লিয়াসের কাছেও থাকতে পারে আবার নিউক্লিয়াস থেকে দূরেও থাকতে পারে। তবে নিউক্লিয়াসের চারিদিকে যে এলাকায় আবর্তনশীল ও নির্দিষ্ট শক্তিযুক্ত ও ইলেকট্রন মেঘের অবস্থানের সম্ভাবনা ৯০-৯৫% হয়ে থাকে, ইলেকট্রন মেঘের সে এলাকাকে অরবিটাল বলে।
অরবিটালের বিভিন্ন সংজ্ঞাঃ
(১) পরমানুতে নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে যে নির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক স্থানে কোনো নির্দিষ্ট শক্তির ইলেকট্রনের অবস্থানের সম্ভাবনা বেশি থাকে (90% – 95%) তাকে অরবিটাল বলে।
(২) নিউক্লিয়াসের চারদিকে ইলেকট্রনের আবর্তনের সর্বাধিক সম্ভাব্য অঞ্চলকে অরবিটাল বলে। অরবিটালকে উপকক্ষ বা উপশক্তিস্তরও বলা হয়।
(৩) নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে নির্দিষ্ট সম্ভাব্য স্থানে ইলেকট্রনের ঘনত্ব সর্বাধিক (90% – 95%) হয় সেই সকল সম্ভাব্য স্থানকে অরবিটাল বলে।
(৪) নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে নির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক স্থানে কোন নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের অবস্থানের সম্ভাবনা বেশি থাকে (90% – 95%) তাকে অরবিটাল বলে।
(৫) নিউক্লিয়াসের চারদিকে যেসকল ত্রিমাত্রিক অঞ্চলে ঘূর্ণয়মান ইলেকট্রনের তথা ইলেক্ট্রন মেঘের পওয়ার সম্ভাবনা (90% – 95%) থাকে, ইলেক্ট্রন মেঘের এই ত্রিমাত্রিক অঞ্চলে অরবিটাল বলে।
(৬) পরমাণুর প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তর এক বা একাধিক উপশক্তিস্তর নিয়ে গঠিত। এ উপশক্তিস্তরগুলােকে অরবিটাল বলা হয়। এগুলােকে s,p,d,f ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করা হয়।
অরবিট ও অরবিটালের মধ্যে পার্থক্যঃ
অরবিট
- নিউক্লিয়াসের চারিদিকে দ্বিমাত্রিক বৃত্তাকার পথে ইলেকট্রন আবর্তনকে বোঝায়।
- ইলেকট্রনের অরবিটসমূহ বৃত্তাকার।
- অরবিটসমূহ প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত।
অরবিটাল
- নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে ত্রিমাত্রিক স্থানে ইলেকট্রন আবর্তনকে বোঝায়।
- অরবিটালের আকৃতি বিভিন্ন রকম হতে পারে।
- অরবিটালসমূহ প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা ও সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত।