প্রতীক: সিলিকন, Si
পারমাণবিক ভর: ২৮.০৮৫৫ u
পরমাণু সংখ্যা: ১৪
ইলেকট্রনের গঠন: [Ne] 3s23p2
গলনাঙ্ক: ১,৪১৪ °C
ইলেকট্রন সংখ্যা: 2, 8, 4
সিলিকন (Silicon) রাসায়নিক একটি মৌল, এর প্রতীক Si ও পারমানবিক সংখ্যা 14। ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8,4। সিলিকন গ্রুপ IV এর সদস্য এবং তৃতীয় পর্যায়ে এর অবস্থান। এর যোজনী 4। প্রাচুর্যের দিক হতে অক্সিজেনের পরেই সিলিকনের স্থান। একে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না। অক্সিজেনের প্রতি এর বিশেষ আসক্তির কারণে এর অক্সাইড যৌগসমূহ পাওয়া যায়। ধাতুর সিলিকেট হিসেবে সকল ধরনের প্রস্তরখণ্ডে এটি বিদ্যমান। কাদামাটির প্রধান উপাদান হচ্ছে বিভিন্ন অ্যালুমিনোসিলিকেট। বালুর প্রধান উপাদান সিলিকন ডাইঅক্সাইড (সিলিকা)।
আবিষ্কার
১৭৮৭ সালে বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে প্রথম সিলিকন শনাক্ত করেন। কিন্তু, ১৮২৪ সালে বিজ্ঞানী বার্জেলিয়াসকে মৌল হিসেবে সিলিকন আবিষ্কারের কৃতিত্ত্ব দেয়া হয়।
বৈশিষ্ট্য
সিলিকনের দৃশ্যমান বর্ণালী
সিলিকন কক্ষ তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ এবং এর গলনাঙ্ক এবং হিমাংক যথাক্রমে ১৪১৪ এবং ৩২৬৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এর তরল অবস্থার ঘনত্ব এর কঠিন অবস্থার ঘনত্বের চেয়ে বেশি। কঠিনে পরিনত করা হলে এর আয়তন অন্যান্য পদার্থের ন্যায় হ্রাস পায় না বরং বৃদ্ধি পায়। এই ধর্মটি পানির বরফে পরিনত হওয়ার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর তাপ পরিবাহকত্ব অপেক্ষাকৃত বেশি যার মান প্রায় ১৪৯ ওয়াট·মি−1·কেলভিন−1 বিশুদ্ধ কেলাসাকার সিলিকন ধূসর বর্ণের যার ধাতব দ্যুতি বিদ্যমান। সিলিকন শক্ত, ভঙ্গুর এবং সহজে চেপ্টা করা যায়। কার্বন এবং জার্মেনিয়ামের ন্যায় এটি হীরকের ন্যায় ঘনকাকার কেলাস গঠন করে যার ল্যাটিস দুরত্ব ০.৫৪৩০৭১০ ন্যনোমিটার (৫.৪৩০৭১০ Å).
প্রস্তুতি : (১) শুষ্ক সিলিকা কণাকে ম্যাগনেসিয়াম গুঁড়ার সাথে মিশিয়ে উত্তপ্ত করলে সিলিকন পাওয়া যায়।
SiO2(s) + 2Mg(s) = 2MgO(s) + Si(s)
(২) শিল্পক্ষেত্রে সিলিকা ও কোকচূর্ণকে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে উত্তপ্ত করে দানাদার সিলিকন তৈরি করা হয়।
SiO2(s) + 2C(s) = Si(s) + 2CO(g)
ভৌত ধর্ম : সিলিকনের দুইটি রূপভেদ আছে। যথা: (ক) দানাদার (খ) অদানাদার।
(ক) দানাদার সিলিকন হাল্কা ধূসর বর্ণের এবং এর কিছুটা ধাতব দ্যুতি আছে। (খ) অদানাদার সিলিকন ঘন বাদামি বর্ণের পানিগ্রাসী পাউডার।
ব্যবহার
সিলিকন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ইলেকট্রনিক শিল্পে।