সাম্যবাদী কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

 

প্রশ্ন-২। কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?

উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’।

 

প্রশ্ন-৩। কোন কবিকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয়?

উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয়।

 

প্রশ্ন-৪। কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

 

প্রশ্ন-৫। ‘সাম্যবাদী’ কবিতাটির রচয়িতা কে?

উত্তরঃ ‘সাম্যবাদী’ কবিতাটির রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম।

 

প্রশ্ন-৬। ‘সাম্যবাদী’ কাব্যটি কত সালে প্রকাশিত হয়?

উত্তরঃ ‘সাম্যবাদী’ কাব্যটি ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়।

 

প্রশ্ন-৭। ‘সাম্যবাদী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা?

উত্তরঃ ‘সাম্যবাদী’ কবিতাটি ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থের নাম কবিতা।

 

প্রশ্ন-৮। ‘সাম্য’ শব্দটির অর্থ কি?

উত্তরঃ ‘সাম্য’ শব্দটির অর্থ সমতা।

 

প্রশ্ন-৯। ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবি কীসের গান গেয়েছেন?

উত্তরঃ ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবি সাম্যের গান গেয়েছেন।

 

প্রশ্ন-১০। ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় বর্ণিত কে মানবের মহা-বেদনার ডাক শুনেছিলেন?

উত্তরঃ ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় বর্ণিত শাক্যমুনি মানবের মহা-বেদনার ডাক শুনেছিলেন।

 

প্রশ্ন-১১। বিভিন্ন যুগে অবতীর্ণ মহাপুরুষদের কী বলা হয়?

উত্তরঃ বিভিন্ন যুগে অবতীর্ণ মহাপুরুষদের যুগাবতার বলা হয়।

 

প্রশ্ন-১২। মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদি তিন ধর্মের পুণ্যস্থান কোনটি?

উত্তরঃ মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদি তিন ধর্মের পুণ্যস্থান জেরুজালেম।

 

প্রশ্ন-১৩। ‘চার্বাক’ কে?

উত্তরঃ ‘চার্বাক’ একজন বস্তুবাদী দার্শনিক ও মুনি।

 

প্রশ্ন-১৪। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় কত সালে?

উত্তরঃ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯১৪ সালে।

 

প্রশ্ন-১৫। পার্সি, জৈন, ইহুদি, সাঁওতাল এরা কারা?

উত্তরঃ পার্সি, জৈন, ইহুদি, সাঁওতাল এরা ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক।

 

প্রশ্ন-১৬। শ্রীমদভগবদগীতা কার মুখনিঃসৃত বানী?

উত্তরঃ শ্রীমদভগবদগীতা শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বানী।

 

প্রশ্ন-১৭। সাম্যবাদী কবিতায় কোন প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে?

উত্তরঃ সাম্যবাদী কবিতায় বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক মানবসমাজ গঠনের প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে।

 

প্রশ্ন-১৮। বাঁশির কিশোর বলা হয়েছে কাকে?

উত্তর : বাশির কিশোর বলা হয়েছে যুগাবতার শ্রীকৃষ্ণকে।

 

প্রশ্ন-১৯। কবি কীভাবে গোটা মানবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে আগ্রহী?

উত্তর : কবি সাম্যের গান গেয়ে গোটা মানবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে আগ্রহী।

 

প্রশ্ন-২০। কাজী নজরুল ইসলাম কোন ধর্মের ওপর জোর দেন?

উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম অন্তর-ধর্মের ওপর জোর দেন।

 

প্রশ্ন-২১। ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মূলসুর কি?

উত্তর : ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মূলসুর হলো বৈষম্যহীন মানবসমাজ গঠনের প্রত্যাশা।

 

প্রশ্ন-২২। ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় মেষের রাখাল ছিলেন কারা?

উত্তর : ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় মেষের রাখাল ছিলেন নবিরা।

 

প্রশ্ন-২৩। ‘যুগাবতার’ অর্থ কি?

উত্তর : ‘যুগাবতার’ অর্থ বিভিন্ন যুগে অবতীর্ণ মহাপুরুষ।

 

প্রশ্ন-২৪। শাক্যমুনি কে?

উত্তর : শাক বংশে জন্ম যার, অর্থাৎ বুদ্ধদেব হলেন শাক্যমুনি।

 

প্রশ্ন-২৫। ‘জেন্দাবেস্তা’ কি?

উত্তর : পারস্যের অগ্নি উপাসকদের ধর্মগ্রন্থ আবেস্তা এবং তার ভাষা জেন্দা, দুটো মিলে হয় ‘জেন্দাবেস্তা’।

 

কবি কীসের গান গেয়েছেন?

উত্তর : কবি সাম্যের গান গেয়েছেন।

 

পারস্য দেশের অগ্নিউপাসকের ধর্মগ্রন্থ কোন ভাষায় লিখিত?

উত্তর : পারস্য দেশের অগ্নিউপাসকদের ধর্মগ্রন্থ আবেস্তা জেন্দা ভাষায় লিখিত।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। সকল ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের মূলকথা বুঝিয়ে লেখো।

উত্তর : সকল ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের মূলকথা হচ্ছে সমতা ও মানবতাবোধ।

পৃথিবীতে অনেক ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ রয়েছে। সব ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থে সাম্যের কথা বলা হয়েছে এবং মানবতার জয়গান গাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই– এ কথাই সকল ধর্মের মর্মবাণী।

 

প্রশ্ন-২। আরব-দুলাল কোরানের সাম-গান গেয়েছেন কেন?

উত্তর : মানুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্যেই আরব-দুলাল পবিত্র কোরআনের সাম-গান গেয়েছেন।

পৃথিবীর সকল ধর্মেই মানুষের মধ্যে সমতার কথা বলা হয়েছে। কেননা এ পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে মহীয়ান আর কিছুই নেই। তাই কোনো মানুষকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। আর এ সাম্যকে অগ্রাধিকার দিতেই কোরানের সাম্যের কথা বলা হয়েছে, যা গেয়েছেন আরব-দুলাল হজরত মুহম্মদ (স.)।

 

প্রশ্ন-৩। মানুষ কেন মৃত পুঁথিতে ঠাকুর-দেবতাকে খুঁজে ফেরে?

উত্তর : ঠাকুর-দেবতার বসবাস মানবহৃদয়ে। মানুষ এ সত্য বুঝতে পারে না বলে মৃত পুঁথিতে ঠাকুর-দেবতাকে খুঁজে ফেরে।

মানুষের হৃদয়ের মাঝে দেবতার আসন। কিন্তু অনেকেই তা বুঝতে পারে না। ধর্মগ্রন্থে ঠাকুর-দেবতার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে। মূলত মানুষের হৃদয়েই স্রষ্টার বসবাস। তাই মানবমনকে জয় করতে পারলে ঠাকুর-দেবতাকে খুঁজে পাওয়া যায়।

 

প্রশ্ন-৪। ‘তোমাতে রয়েছে সকল ধর্ম, সকল যুগাবতার’- এখানে ‘তোমাতে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : ‘তোমাতে রয়েছে সকল ধর্ম, সকল যুগাবতার’ এখানে ‘তোমাতে’ বলতে মানবহৃদয়কে বোঝানো হয়েছে।

মানুষের হৃদয়ে রয়েছে জ্ঞানের অপার ভাণ্ডার। সকল ধর্ম ও ধর্মের মূলমন্ত্র মানুষের হৃদয়ের মধ্যেই সংকলিত রয়েছে। আর মহাপুরুষগণ মানবহৃদয়ের সত্যতাকে ধারণ করেন এবং প্রচার করেন। তাই সকল ধর্ম, যুগাবতার মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান।

 

প্রশ্ন-৫। ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবি অন্তরধর্মের ওপর জোর দিয়েছেন কেন?

উত্তর : বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় কবি অন্তরধর্মের ওপর জোর দিয়েছেন।

পৃথিবী আজ নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষে বিভক্ত। মানুষের মাঝে এ বিভক্তি কবিকে পীড়া দিয়েছে। তিনি লক্ষ করেছেন, পৃথিবীর সকল ধর্মের মূল লক্ষ্য মানবতাবোধ ও সমতা বিধান, যা একমাত্র মানুষের অন্তরেই বিদ্যমান। তাছাড়া মানবহৃদয়ই সকল ঐশ্বর্যের মূল। এ কারণেই তিনি অন্তরধর্মের ওপর জোর দিয়েছেন।

 

প্রশ্ন-৬। কাজী নজরুল ইসলামকে সাম্যের কবি বলা হয় কেন?

উত্তর : সাম্যের চেতনায় বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন বলে কাজী নজরুল ইসলামকে সাম্যের কবি বলা হয়।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যকার বৈষম্য দূর করতে সাম্যের জয়গান গেয়েছেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ইত্যাদি নানা পরিচয়ে মানুষের মাঝে বিদ্যমান বিভেদের দেয়ালগুলো ভেঙে দিতে তিনি লেখনী ধারণ করেছিলেন। মানুষে মানুষে সমতা সৃষ্টির মাধ্যমে সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য। তাই কাজী নজরুল ইসলামকে সাম্যের কবি বলা হয়।

 

Tags :

  • সাম্যবাদী কবিতার কবি পেটে পিঠে কাঁধে ও মগজে কি নেওয়ার কথা বলেছেন?
  • সাম্যবাদী কবিতার mcq
  • সাম্যবাদী কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার করো
  • কবি কেন সাম্যের গান গেয়েছেন?
  • মৃত পুঁথি কঙ্কাল কথাটি দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে?
  • সাম্যবাদী কবিতার ব্যাখ্যা
  • সাম্যবাদী কবিতার প্রতি লাইনের ব্যাখ্যা
  • চার্বাক কে?
  • কবি সাম্যের গান গেয়েছেন কেন?