ভার্চুয়াল অফিস কাকে বলে? ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা ও অসুবিধা কি?

সশরীরে অফিসে উপস্থিত না হয়েও অফিসের কাজ সরাসরি করতে পারার সুযোগ পাওয়া যায় যে অফিসে, সেই অফিসকে ভার্চুয়াল অফিস (Virtual office) বলে। ভার্চুয়াল অফিসে কাজ করতে কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও প্রোগামিং এ দক্ষতা লাগে।

আজকের এই পোস্টে আমরা ভার্চুয়াল অফিস কি? ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা ও অসুবিধা সহ বিস্তারিত সকল বিষয়ে সহজ ভাষায় আলোচনা করার চেষ্টা করবো। এই পোস্টটি পড়ার পর ভার্চুয়াল অফিস নিয়ে আপনার অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি।

 

ভার্চুয়াল অফিস কি?

প্রথমেই আমাদের জানতে হবে ভার্চুয়াল অফিস কী। “ভার্চুয়াল” শব্দটি বর্তমানে এই আধুনিক দুনিয়াতে বহুল পরিচিত এর মানে হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক কিছু একটা, এটা আমরা সবাই জানি।

ভার্চুয়াল অফিস মানে এটাই, যে আপনি কোনো দালানকোঠা অর্থাৎ কোনো অফিসে বসে কাজ না করে, বাসায় বসে যেকোনো ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে (মোবাইল, কম্পিউটার যেকোনো কিছু হতে পারে) বাড়িতে বসেই কাজটা করছেন। এমনি ভাবে বাড়িতে বসে অফিস করাটাকেই ভার্চুয়াল অফিস বলা হয়।

এককথায় বলতে গেলে, যেটা আপনি প্রযুক্তির সাহায্যে, কোথাও না গিয়ে অন্য প্রান্তের কারো সাথে বসে অফিস করছেন। কেউ একজন যখন সশরীরে অফিসে উপস্থিত না হয়ে যেকেনো স্থানে বসে কেবলমাত্র কোনো এক ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনেই তার অফিসের কাজ করতে পারে এই ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে। ভার্চুয়াল অফিস এখন অনেক স্থানেই দেখা যায়।

 

ভার্চুয়াল অফিস বলতে ঠিক কি বোঝায়? 

ভার্চুয়াল অফিস নাম শুনলে অনেকে হয়তো বুঝে যাবেন যে এটা অনলাইনের সাথে সম্পর্কিত। কারণ, ভার্চুয়াল মানেই তা “সরাসরি নয়”। ভার্চুয়াল অফিস এমন একটি সিস্টেম যেখান থেকে আপনি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের কোনো এক ব্যাক্তির সাহায্যে বসে কাজ করতে পারবেন। এই কাজ আপনি কেবল মাত্র আপনার বাড়িতে বসে দুইটি জিনিসের সাহায্যে করতে পারবেন-

  • একটি ডিভাইস (কম্পিউটার, স্মার্টফোন যেকোনো কিছু)
  • নেটওয়ার্ক কানেকশন

এছাড়া ,আপনার কিছু দক্ষতার প্রয়োজন পরে।

 

ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা (Advantages of Virtual office)

ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধাগুলো হলো–

  • অফিসের জন্য বড় বড় বিল্ডিং তৈরি করতে হয় না।
  • অফিস করতে সশরীরে অফিসে যেতে হয় না।
  • অধিক যোগ্য জনশক্তির নিয়োগ দেওয়া যায়।
  • পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে গিয়েই অফিসের কাজ পরিচালনা করা যায়।
  • দিন-রাতের যেকোনো সময়েই (সুবিধামতো) অফিসের কাজ করে নেওয়া যায়।
  • জনজীবনের দুর্ভোগ কমিয়ে পরিবেশের সংরক্ষণ করা যায়।

 

ভার্চুয়াল অফিস এর অসুবিধা

  • ভার্চুয়াল অফিসে কাজ করার জন্য যেহেতু কোনো ব্যাক্তি একা থাকেন, তাই তিনি কখনো কখনো একাকীত্ব অনুভব করেন, যা কিনা তার মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে।
  • ভার্চুয়াল অফিসে কাজ করার জন্য আপনার ফোন কিংবা কম্পিউটার এর জন্য প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়, এবং এর ডাটার জন্যও আপনাকে টাকা খরচ করতে হয়।
  • আপনার এখানে কাজ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে দক্ষতা প্রয়োজন। আর নরমালি আপনি যদি ইট পাথরের অফিসে গিয়ে কাজ করেন তখন কিন্তু আপনার তেমন দক্ষতার প্রয়োজন পরে না।
  • এসময় আপনাকে ভালো মানের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার আপডেট করতে হয়, এর জন্যও আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হতে পারে।