সুইচ হচ্ছে অতি জরুরি একটি বৈদ্যুতিক ফিটিংস। এটি সার্কিটে নিয়ন্ত্রণ ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। বৈদ্যুতিক সার্কিট বা বর্তনীতে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ (অফ, অন) করতে যে ফিটিংস ব্যবহার করা হয়, তাকে সুইচ বলে। সুইচ ছাড়া বর্তনীতে কারেন্ট প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
বৈদ্যুতিক সুইচ কত প্রকার ও কি কি?
গঠন ও ব্যবহার অনুযায়ী সুইচকে নিম্নরূপ ভাগ করা যায়। যথা– ১। নাইফ সুইচ ও ২। টাম্বলার সুইচ।
নাইফ সুইচের শ্রেণিবিভাগ : বাজারে বিভিন্ন ধরনের নাইফ সুইচ পাওয়া যায়। যেমন- ক) মেইন সুইচ, খ) ব্রেক সুইচ, গ) SPST, ঘ) SPDT, ঙ) DPDT, চ) আয়রন ক্লাড সুইচ, ছ) TPST ইত্যাদি।
ট্রাম্বুলার সুইচের শ্রেণিবিভাগ : বহুল ব্যবহৃত ট্রাম্বুলার সুইচগুলো হলো- ক) ওয়ান ওয়ে সুইচ, খ) টু ওয়ে সুইচ, গ) ইন্টারমিডিয়েট সুইচ, ঘ) বেড সুইচ, ঙ) কী সুইচ, চ) পুশ পুল সুইচ, ছ) রোটারি সুইচ, জ) পুশ বাটন সুইচ ইত্যাদি।
ভোল্টেজ গ্রেড অনুযায়ী সুইচকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা–
১। ২৫০ ভোল্ট গ্রেডের সুইচ এবং ২। ৫০০ ভোল্ট গ্রেডের সুইচ।
কারেন্ট বহন করার ক্ষমতা অনুযায়ী সুইচকে বিভিন্ন ধাপে বিভক্ত করা যায়। যেমন- ৫A, ১০A, ১৫A, ২০A, ৩০A, ৬০A, ১০০A এবং ১৫০A সুইচ ইত্যাদি।
সুইচের ব্যবহার
বিভিন্ন ধরনের সুবিধা, কাজের ধরন ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী সুইচ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সুইচের নামসহ উহাদের ব্যবহার নিচে উল্লেখ করা হলো।
১। ট্র্যাম্বুলার সুইচ : এ ধরনের সুইচ ২৫০ ভোল্ট, ৫ অ্যাম্পিয়ার থেকে ১৫ অ্যম্পিয়ার পর্যন্ত বাতি, হিটার, ইস্ত্রি ইত্যাদি লোড চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
টাম্বুলার সুইচসমূহের ব্যবহার : সাধারণত কম অ্যাম্পিয়ারের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ৫ অ্যাম্পিয়ার এর টাম্বুলার সুইচ বাতি জ্বালাবার জন্য, এবং ১৫ অ্যাম্পিয়ার টাম্বুলার সুইচ হিটার, ইস্ত্রি ইত্যদি পাওয়ার সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
১। ওয়ান ওয়ে সুইচ : সাধারণত বাতি, পাখা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে এ সুইচ ব্যবহার করা হয়।