এ পৃথিবীতে আমরা যা কিছু দেখতে পাই বা যা কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করি, সব কিছুকে দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়; পদার্থ ও শক্তি। যার ভর আছে, যা কোনো স্থান দখল করে অবস্থান করে এবং যা তার স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তনে বাঁধা প্রদান করে, তাকে পদার্থ বলা হয়।
অন্য কথায় বলা যায়, যার জড়তা (inertia) আছে, তাই পদার্থ। আমাদের চারিদিকে যত বস্তু আছে, সবই পদার্থ। টেবিল, চেয়ার, মাটি, পানি, বাতাস ইত্যাদি। বাতাস আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না, কিন্তু তার অস্তিত্ব অনুভব করি, তার ভর আছে এবং তা স্থান দখল করে আছে। সুতরাং বাতাস পদার্থ।
তাপ, আলোক প্রভৃতি হচ্ছে শক্তি। এগুলো কোনো স্থান দখল করে না। এগুলোর ভর নেই। সুতরাং এগুলো পদার্থ নয়।
কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য :
১. এদের নির্দিষ্ট আকার, আয়তন ও কমবেশি দৃঢ়তা আছে।
২. কঠিন পদার্থের অণুসমূহের মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল বেশি।
৩. এদের অণুসমূহ পরস্পরের অতি সন্নিকটে থাকে।
৪. কঠিন পদার্থের জড়তা আছে।
তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য :
১. এদের নির্দিষ্ট আয়তন আছে কিন্তু নির্দিষ্ট আকার নেই। যখন যে পাত্রে রাখা হয় তখন সে পাত্রের আকার ধারণ করে।
২. এদের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল কম।
৩. তরল পদার্থের অণুসমূহ পরস্পরের সন্নিকটে থাকে।
৪. অণুসমূহ স্থান পরিবর্তন করতে পারে।
গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য :
১. এদের নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই।
২. চাপের পার্থক্যের কারণে এদের আয়তনের পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য।
৩. এদের আন্তঃআণবিক শক্তি অনেক কম, তাই অণুসমূহের মধ্যে দূরত্ব অনেক বেশি। ফলে অণুসমূহ প্রায় সম্পূর্ণ মুক্তভাবে চলাচল করে।