দাদ এক ধরনের চর্মরোগ যা Tinea নামক ছত্রাকের আক্রমণ থেকে হয়ে থাকে। এটি একটি প্রচলিত রোগ যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে এটি যে কোন বয়সের মানুষকে আক্রমণ করতে পারে। শরীরের যেকোন স্থানে এর সংক্রমণ ও বংশ বৃদ্ধির ফলে এ রোগের সৃষ্টি হয়।
দাদ রোগের বিস্তার
দাদ খুব সহজেই এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমিত হয়। সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত চিরুনি, আধোয়া কাপড় বা ব্যবহৃত অন্য কোন জিনিস থেকে সহজেই এ রোগ সংক্রমিত হতে পারে। প্রাণী বা কীট-পতঙ্গের মাধ্যমেও এ রোগ ছড়াতে পারে। বিড়াল এ রোগের একটি স্বাভাবিক বাহক। উষ্ণ ও ভেজা স্থানে জীবাণুর সংক্রমণ বেশি হয়।
দাদ রোগের লক্ষণ
চামড়ায় ছোট ছোট লাল বৃত্তকার ফুসকুড়ি দেখা যায়। আক্রান্ত স্থানে এটি প্রায়শই রিং-এর মত গঠন সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে লাল ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ক্ষতের সুনির্দিষ্ট প্রান্তসীমা থাকে। কখনও কখনও ত্বকে প্রচণ্ড চুলকানি হয়।
দাদ রোগের নিয়ন্ত্রণ
চামড়া পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখতে হবে। সুতির মোজা ও অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে। অন্যকারো ব্যবহৃত পোষাক, তোয়ালে, চিরুনী ব্যবহার করা যাবে না। গোসলের পর ভালোভাবে শরীর মুছতে হবে। পোশাক ও অন্তর্বাস যথাসম্ভব ঢিলেঢালা পড়তে হবে। বিছানার তোষক, চাদর ও কাপড় কিছুদিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে। মাথার ত্বকে দাদে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত বালিশ, টুপি, চিরুনী, কাঁচি জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। পা শুকনা রাখতে হবে। আক্রান্ত স্থানে ছত্রাকনাশক পাউডার বা ক্রীম যাতে Miconazole, Clotrimazole-এর মত উপাদান আছে লাগানো যেতে পারে। এমন কাপড় পরা উচিত নয় যা আক্রান্ত স্থানে ঘসা লাগে ও অস্বস্তি বোধ হয়। আক্রান্ত হলে প্রত্যেকদিন রাতের কাপড় ও বিছানা পরিষ্কার করতে হবে। অনেক সময় আক্রমণ বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শে ছত্রাকনাশক পিল সেবন করা যেতে পারে।
Tags :
- দাদ হলে কি ওষুধ?
- দাদ রোগ হলে কি করব?
- দাদের মলম এর নাম কি?
- দাদ রোগের লক্ষণ কি?
- দাদ রোগ কেন হয়?
- দাদ চুলকানি দূর করার উপায় কি?
- দাদ হলে করনীয় কি?
- শরীরে দাদ হলে কি করনীয়?
- দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ?
- দাদ কি ছোঁয়াচে
- দাউদের ভালো ঔষধ কি
- দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
- দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
- পুরাতন দাদ এর চিকিৎসা
- টিনিয়া করপোরিস কি
- দাদের ছবি
- দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম
- শিশুদের দাদ হলে করনীয়
- কুচকিতে দাদ
- দাদ রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা
- দাদে নারিকেল তেল
- দাদের চিকিৎসা ঔষধ
- দাদ এর মলম